ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলমান। ছুটি চলছে দেশের উচ্চ ও নিম্ন আদালতে। এমন পরিস্থিতিতে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণকে করোনা মুক্ত রেখে বিচার পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে ভার্চুয়াল কোর্ট। উচ্চ ও নিম্ন আদালতে স্বল্প পরিসরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল কোর্টে বিচার চলছে। এইসব কোর্টে জামিন চাচ্ছেন বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামিরা।
গত তিন কার্যদিবসে অধস্তন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিন হাজার আসামি। জামিনের আদেশের কপি দ্রুত পৌঁছেছে কারাগারে। কারা কর্তৃপক্ষ তা যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট মামলার আসামিদের দিচ্ছেন কারামুক্তি। এতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দিতে পূর্ণ কারাগারগুলোতে চাপ কমছে।
এদিকে তিন দিনে তিন হাজার আসামির জামিন ও কারামুক্তির বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিভিন্ন মহল। তারা বলছেন, দেশের ৬৪ টি জেলা কারাগারে প্রায় ৯০ হাজারের মত বন্দি রয়েছে। কোর্ট বন্ধ থাকায় দুই মাস বিচারপ্রার্থী জনগণ আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি। এখন ভার্চুয়াল কোর্ট চালু হওয়ায় আইনজীবীরা যে কোন স্থান থেকে আসামির পক্ষে জামিন আবেদন দাখিল ও শুনানি করতে পারছেন। এতে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকার পাশাপাশি করোনার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে। ই-জুডিসিয়ারির এটা একটা ভালো দিক।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা ল’ রিপোর্ট (ডিএলআর) এর সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, জামিন চাওয়া একজন ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। কিন্তু জামিন হবে কি হবে না সেটা সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। করোনাকালে আদালত থেকে বিপুল সংখ্যক আসামি জামিন পাচ্ছেন এটা ভালো লক্ষণ। কারণ এই সময়ে মানুষ তো বিচার পাচ্ছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়ার পর সরকার কারাগারে চাপ কমাতে কয়েক হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এখন আদালত কর্তৃক জামিনের মাধ্যমে কয়েক হাজার আসামি মুক্তি পেল এবং আগামীতে পাবে। এতে বন্দি রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে কারাগারে উপর চাপ অনেকটাই কমবে।
/আরএম