দেশজুড়ে
ভারতের প্রেমিকা বাংলাদেশে এসে জেলহাজতে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা প্রীতিলতা পণ্ডিত (১৭) নামে ভারতীয় এক কিশোরী ও বাংলাদেশী দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর সদর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
রোববার (২৭ জুন) রংপুর সদর আদালতে তোলা হলে সবকিছু শুনে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক দেলোয়ার হোসেন।
স্থানীয়রা জানায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে গড়ে ওঠা প্রেমের টানে মেয়েটি মিলন নামে তার প্রেমিকের কাছে এসেছিল। কিন্তু বেরসিক পুলিশ বলছে, মিলন ও তার সহযোগী হাবিব মেয়েটিকে অসৎ উদ্দেশে সীমান্তের চোরাপথে পাচার করে আনে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি জাহাঙ্গীর আলম তুহিন বলেন, প্রীতিলতা পণ্ডিত নামে ১৭ বছর বয়সী মেয়েটির বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায়। তার বাবার নাম মন্টু পণ্ডিত। গত ২৪ জুন সে যশোর সীমান্তের চোরাপথে বাংলাদেশে আসে। বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এবং অবৈধপথে তাকে বাংলাদেশে আসতে সহায়তার জন্য মিলন ও হাবিব নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে রোববার রংপুর আদালতে তোলা হয়। সবকিছু শুনে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রীতি পণ্ডিতের সঙ্গে রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের মহির উদ্দিনের ছেলে মিলনের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই টানে গত ২৪ জুন ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে প্রীতি। গত কয়েক দিন ধরে সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের পালিচড়া ফাজিলখা গ্রামে মিলনের বাড়িতে অবস্থান করছিল প্রীতিলতা।
এদিকে, তার অবস্থানের খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে অভিযানে নামে পুলিশ। তবে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে মিলন ও তার এক সহযোগী একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমানকে (২৪) পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার রানী পুকুর ইউনিয়নের নূরপুর বালাপাড়া এলাকার জনৈক লতিফুল ইসলামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় প্রীতিলতা পণ্ডিতকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।