বিশেষ প্রতিবেদন
ভয়ংকর ‘জীবন্ত মৃত’ জোম্বিরা হেটে বেড়ায় রাস্তায়
নাহিদুজ্জামান টুটুলঃ জোম্বি(Zombie) শব্দটির কথা মনে হলেই কল্পনায় ভেসে ওঠে ভয়ঙ্কর ‘জীবন্ত মৃত’ ব্যক্তির কথা। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে জীবন্ত মৃত কেন বলা হচ্ছে? জীবন্ত হলে আবার মৃত কিংবা মৃত হলে আবার জীবন্ত হয় কিভাবে ?
‘জীবন্ত মৃত’ এই জন্যই বলা হয় যারা জোম্বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় তাদের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ(brain control) করে এই ভাইরাসটি। জীবিত হয়েও কুৎসিত, কদাকার চেহারা নিয়ে আবির্ভূত হয় জোম্বি। নিজের আর কোনো বোধ শক্তি বা ইচ্ছা শক্তি থাকে না। তবে আদতেও জম্বি আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে অনেকের মনেই।
‘ডন অব দ্য ডেড’, ‘ডেড স্নো’, ‘ডেড এলাইভ’, ‘সিটি অব দ্য লিভিং ডেড’ আর ‘রেসিডেন্ট ইভিল’ ‘হাউস অফ দা ডেথ’ এসব সিনেমার বদৌলতে জোম্বি শব্দটির সাথে মোটামুটি পরিচিত সবাই। কিন্তু বাস্তব জীবনে এই জোম্বির কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও নানারকম গুজব আর রূপকথায় জোম্বিদের কথা শোনা যায়।
সেই গুজব আর রূপকথা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথমবারের মতো জোম্বিদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়জন করে স্থানীয় বাসিন্দারা। জোম্বিদের স্টাইলে হেটে বেড়ানোই হচ্ছে ‘জোম্বি ওয়াক’। জোম্বি ওয়াকে জোম্বিদের মত সাজগোজ করে রাস্তায় হেটে এই উৎসব পালন করে তারা।
এরপর থেকেই এই আয়োজন নিউ ইয়র্ক, কলোম্বিয়ার রাজধানী বোগোটা, মেক্সিকো, ব্রাজিলের সাও পাওলোসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উৎসব আকারে পালিত হচ্ছে। হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে যেন ভূতের রাজ্য। সাজসজ্জায় ভয়াবহতার পাশাপাশি পোশাক ও ভঙ্গিতেও বৈচিত্রতা রয়েছে এসব জোম্বিদের।
যেন জীবন্ত লাশের দখলে চলে গেছে পুরো শহর। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও ভয়ের কিছু নেই। জোম্বি ওয়াকে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই আসেন পুরো পরিবার নিয়ে। অনেক পরিবার আবার ভয় দেখানোর এই আয়োজন উপভোগ করতে রাস্তায় নেমে আসেন। প্রতিবছরই ঘটা করে পালিত হয় ব্যতিক্রমধর্মী এই উৎসব।
/আরএম