চাকুরীব্যাংক-বীমা
ব্যাংকের চাকরিতে ১৬ শতাংশ নারী কর্মী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দেশে কার্যরত ৫৯টি ব্যাংকে জনবল রয়েছে এক লাখ ৭৮ হাজার ৪৩০ জন। একবছর আগের তুলনায় এ খাতে কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজার ২৩৮জন। একবছরে অবসরে যাওয়া জনবল বিবেচনায় নিলে ব্যাংক খাতে আরও বেশি নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। কর্মরত এসব জনবলের মধ্যে ২৮ হাজার ৪৮০ জন তথা প্রায় ১৬ শতাংশ নারী। একবছর আগে নারী কর্মী ছিল ১৫ শতাংশের কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিসেম্বর ভিত্তিক লিঙ্গ সমতা বিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকাররা জানান, নানা প্রতিক’লতার মধ্যেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক খাতের অন্যতম ব্যাংক খাতে প্রচুর নতুন চাকরি হচ্ছিল। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে এ খাতে জনবল বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক শুন্য ৯ শতাংশ। অনেক নতুন নিয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা স্থগিত আছে। নতুন ঋণ বিতরণ, আমদানি, রপ্তানি কমে যাওয়া, আগের ঋণের আদায় কম হওয়া, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জসহ নানা কারণে ব্যাংকগুলো আগামী দিনে খরচ কমানোর কথা ভাবছে। ফলে কর্মীদের মধ্যে ছাটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ নারী কর্মী আছেন বিদেশি ব্যাংকগুলোতে। এসব ব্যাংকের তিন হাজার ৮৫৮ কর্মীর মধ্যে নারী আছেন এক হাজার ৯৪ জন। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এক লাখ ৯ হাজার ১২৭ জনের মধ্যে নারী আছেন ১৭ হাজার ৭৯১ জন। মোট জনবলের যা ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৫১ হাজার ৪২৯ জন কর্মীর মধ্যে নারী কর্মী ৭ হাজার ৭৬৭ জন যা ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর সরকারি মালিকানার বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের ১২ হাজার ১৮৮ জনের মধ্যে নারী কর্মী এক হাজার ৮২৮ জন যা ১৩ দশমিক শুন্য ৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ রয়েছেন নারী। উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে নারীদের হার ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। মধ্যবর্তী পর্যায়ে নারী কর্মকর্তার হার ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর চাকরি শুরুর পর্যায়ে আছেন ১৬ দশমিক শুন্য ২ শতাংশ। গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে যারা চাকরি বদল করেছেন তাদের মধ্যে ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিলেন নারী কর্মী।
/এন এইচ