আমদানি-রপ্তানীব্যাংক-বীমা
‘ব্যাংকগুলোকে চীনা কালো তালিকাভুক্তির তথ্য সঠিক নয়’
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: চীনের সাথে আমদানি বাণিজ্যের লেনদেনে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর কালো তালিকার তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, সঠিক তথ্য আর কোন অনিয়ম না থাকলে এলসির অর্থ পরিশোধ না করার কোন সুযোগ নেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রিয় ব্যাংক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভূমিকা রাখার আহ্বান আমদানিকারকদের।
বাংলাদেশ প্রতিবছর সর্বাধিক পণ্য আমদানি করে চীন থেকে। টাকার অংকে যার পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার। আমদানি রপ্তানির এই পুরো প্রক্রিয়াই হয়ে থাকে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি বাবদ এলসির বিপরীতে পাওনা পরিশোধ করে আসছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক।
তবে এলসির অর্থ পরিশোধ না করায় দেশের বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে চীন কালো তালিকাভুক্ত করেছ এমন খবর প্রচার হলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, এ তথ্য সঠিক নয়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নীতিমালার ফলে আমদানি কার্যক্রম সঠিক থাকলে কোন ভাবেই এলসির অর্থ পরিশোধ না করার কোন সুযোগ নেই ব্যাংকগুলোর।
পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান খসরু বলেন, ‘সঙ্কট যেটা তৈরি হয়েছে, ব্যাংকগুলোকে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে তা চীনা কোন ওয়েব সাইটে দেয়া নাই। ব্যাংক যদি অনুমতিও দেয় মাল ছাড়া পেমেন্ট করা যায় না। তা হলে সেটা মানি লন্ডারিং হয়। এই বিষয়গুলো নিয়ে চাইনিজ ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ঠিকমত যোগাযোগ হয়নি।’
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান বলেন, ‘কাস্টমারদের অবশ্যই জানাতে হবে আমরা বাংলাদেশ থেকে এত টাকা পাঠাবো সেই অনুপাতে মালামাল আসতে হবে। যারা অভিযোগ করছেন তাদের অনুরোধ করবো আপনি আমাদের ডকুমেন্ট পাঠান।’
যেহেতু চীনের সাথে বাংলাদেশের সব থেকে বড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক তাই বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রিয় ব্যাংক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান ব্যবসায়ীদের।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজি ইফতেখার হোসাইন বলেন, আমরা একটা নির্দিষ্ট তারিখে পেমেন্ট করার কথা বলি। সেই তারিখে পেমেন্ট না হলে তারা মনে করে আমরা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দুর্বল। এটা সমাধান করা কঠিন কাজ নয় বলে মনে করি।’