দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কেনা যাবেনা মোটর সাইকেল
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটর সাইকেল বিক্রি না করার নির্দেশনা জারির সুপারিশ করেছে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটি।
ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে বিআরটিএ। আশু করণীয় হিসেবে এই সুপারিশ বাস্তবায়নের ফলে কিশোর বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের মোটরসাইকেল ক্রয়ের প্রবণতা কমানো সম্ভব। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা বহুলাংশে হ্রাস পাবে বলে মনে করে কমিটি। এছাড়াও মোটর সাইকেলের জন্য আলাদা লেন, মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারসহ মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের নিরাপত্তায় কয়েক দফা সুপারিশ করেছে কমিটি।
সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারের সুপারিশের মধ্যে মোটরসাইকেলের বিষয়ে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল ক্রেতাকে অবশ্যই বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী হওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোনো ব্যক্তির কাছে মোটরসাইকেল বিক্রয় না করার বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা। মোটর সাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার সময় অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে ক্রেতার ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা।
এছাড়া ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আওতায় পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়ে এতে বলা হয়, ‘সারাদেশে রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। এর বিপরীতে ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রায় নয় লাখ। মোটরসাইকেল ও লাইসেন্স ধারী মোটরসাইকেল চালকের সংখ্যা ব্যাপক পার্থক্য দূর করার জন্য একটি ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ সময় সাপেক্ষ বিধায় বিআরটিএ এবং পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারে।’
পুলিশের সহায়তায় স্বল্পমেয়াদী এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে বিআরটিএ। সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে সড়ক-মহাসড়কে লাইসেন্সবিহীন চালকের সংখ্যা কমবে এবং সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করে কমিটি।
প্রয়োজনীয় সমীক্ষার মাধ্যমে যেসব সড়কে সাইকেল বা মোটরসাইকেলের ব্যবহার বেশি সেখানে সাইকেল বা মোটরসাইকেল লেন প্রদান করার বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করার সুপারিশ করা হয়েছে। সাইকেলের ব্যবহার রাজধানীতে ক্রমাগত বাড়ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাইকেলের জন্য আলাদা লেন করা হয় সাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তার জন্য। ঢাকার রাস্তায় এ ধরনের ব্যবস্থা প্রদান করা সম্ভব কিনা এবং কোন কোন রাস্তায় করা যাবে এবং কিভাবে করা যাবে সে বিষয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করে সাইকেল রুটের পরিকল্পনা করতে হবে।
গত ২২ আগস্ট সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী এবং শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরি সভাপতি শাহজাহান খানের নেতৃত্বে সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
#এমএস