ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রতিদিনের নানা ব্যস্ততার মধ্যে মানুষ হাসতেই ভুলে যান। আর তখন নিজের মধ্যে জায়গা করে নেয় নানা হতাশা বা চাপ। এই চাপ থেকে নিজেকে বের করে আনাটা তখন দুষ্কর হয়ে পড়ে। তবে এর থেকে মুক্তির পথও খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।
যারা প্রতিদিন অন্যদের তুলনায় বেশি হাসেন, চাপ সামলানোর ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা বেশি বলে নতুন একটি গবেষণায় জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব বাসেলের গবেষকেরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে গবেষণার এই ফলাফল পোলস ওয়ান জার্নালে প্রকাশ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিশেষেজ্ঞরা দেখেছেন, মানুষ সাধারণত দিনে গড়ে ১৮ বার হাসে।
এর আগেও একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হাসলে মানসিক চাপ কমে। হাসির সময় আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত কর্টিজল হরমোনের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলে। এতে মানসিক চাপ দূর হয় এবং হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে।
গবেষকেরা বলছেন, যদি দুজন মানুষ একসঙ্গে প্রাণ খুলে হাসতে পারেন, তাহলে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ার আশঙ্কা বেশ কম। হাসি দলীয় বন্ধন (টিমওয়ার্ক) মজবুত করে।
করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে যারা চিন্তায় আছেন, তাদের হাসিখুশি থাকা খুব জরুরি। হাসি শরীরে স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধক শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ফলাফল মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
হাসার কারণে ফুসফুস প্রসারিত হয়। এতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে বিশুদ্ধ অক্সিজেন প্রবেশ করে, যা পরবর্তী সময়ে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নানান রোগের প্রকোপ কমে যায়।
/এন এইচ