আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য

বেনাপোল বন্দরে যানজটে আমদানি-রফতানি ব্যাহত, রাজস্ব আয়ে ধ্বস

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় ভয়াবহ যানজটের কারণে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এতে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে সরকারি রাজস্ব আয়ে।

বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৮শ’ কোটি টাকা। এ ঘাটতির মূল কারণ যানজট। একই কারণে বন্দর থেকে খালাস করা পণ্য সময়মতো পরিবহন করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া। সড়কে আটকা পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভারত গমনাগমনকারী যাত্রীরা।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আ. জলিল জানান, যানজট নিরসনে ইতিমধ্যে ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শেষ হলে যানজট নিরসন সম্ভব হবে। বন্দর সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা বিরাজ করলেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা নেই। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫-৬শ’ ট্রাক মালামাল আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে। বন্দরের নিজস্ব কোনো ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় যেখানে সেখানে খালি ট্রাক রাখা হয়। এতে যানজট দিন-রাত লেগেই আছে।

কয়েক বছর ধরে বেনাপোল বন্দরে যানজটের এ ভয়াবহ অবস্থা লেগেই আছে। ভারত থেকে আমদানি করা ট্রাক ও বাসের চেসিস রক্ষণাবেক্ষণে নিজস্ব জায়গা থাকলেও কাজ হচ্ছে না।

বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান লিটন জানান, বর্তমানে বন্দরের ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার টন। কিন্তু পণ্য রাখা হয় ১ থেকে দেড় লাখ টন। বন্দরে স্থান সংকটের কারণে ভারত থেকে আসা পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকে। ট্রাক ড্যামারেজের কারণে আমদানিকারকরাও মোটা অংকের লোকসানের মুখে। সরকারের রাজস্ব আয়েও প্রভাব পড়ছে। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন হলে বর্তমানে দ্বিগুণ রাজস্ব আয় সম্ভব।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close