কৃষিশিল্প-বানিজ্য
বুলবুলে ফসলের ক্ষতি ২৬৩ কোটি টাকা : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে উপকূলীয় ১৬ জেলায় ২২ হাজার ৮৩৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭২ হাজার ২১২ টন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ২৬৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৫০৩ কৃষক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী। এ সময় কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
রোববার ভোরে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। জেলাগুলো হল- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর।
ঝড়ের পরই ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া না গেলেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ১৬ জেলার ২ লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিল, যার মধ্যে রোপা আমন, খেসারি, পানের বরজসহ রবিশস্য ও শীতকালীন সবজি রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে একই তথ্য দেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক।
১৬ জেলার ১০৩ উপজেলায় ঝড়ের প্রভাব পড়েছে জানিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬ হেক্টর (মোট আবাদকৃত জমির ১৪ শতাংশ) এবং ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ২২ হাজার ৮৩৬ হেক্টর (মোট আক্রান্ত জমির ৮ শতাংশ)। আক্রান্ত ফসলগুলো হল রোপা আমন, শীতকালীন সবজি, সরিষা, খেসারি, মসুর ও পান।
ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের পরিমাণ ৭২ হাজার ২১২ টন। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির মধ্যে রোপা আমনের ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭৮ হেক্টর, সরিষার ১ হাজার ৪৭৬ হেক্টর, শীতকালীন সবজির ১৬ হাজার ৮৮৪ হেক্টর, খেসারির ৩১ হাজার ৮৮ হেক্টর, মসুরের ১৯৫ হেক্টর, পানের দুই হাজার ৬৬৩ হেক্টর এবং অন্যান্য ৩ হাজার ১২৬ হেক্টর জমি রয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। ধানে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে জানতে চাইলে কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, অনুমান করছি ৪৭ কোটি টাকা রোপা আমনে এবং ৭৯ কোটি টাকা সবজিতে ক্ষতি হবে।
ঘূর্ণিঝড়ে ফসলের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না জানিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, গত বোরো ও আমন মৌসুমে অতিরিক্ত উৎপাদন হয়েছিল। এবার আমন মাঠে যে ফসল আছে, ধান কাটা কেবল শুরু হয়েছে। আমার আশা করছি, খুব ভালো ফলন হবে। এছাড়া এবার ধানে চিটা কম হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পর দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষি পুনর্বাসন শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
/আরএম