দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
বিয়ের প্রলোভনে দলবেঁধে নারীকে গণধর্ষণ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নোয়াখালীতে বিয়ের প্রলোভনে দলবেঁধে এক নারীকে গণধর্ষণ করেছে ৬ নরপশু। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে সুধারাম মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খোকন (২৮), মিজান (২৮), শহিদ (৩৫), সিরাজ (৩২), নুর ইসলাম (৩৫), রশিদ (২৮) কে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (৭ অক্টোবর) এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন সংবাদমাধ্যমে জানান, আন্ডারচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নুর ইসলামের ছেলে খোকন (২০) কয়েক মাস থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর ফলকনের রতনপুর গ্রামের মেয়ে বর্তমানে রামগঞ্জ পৌরসভার কুটি বাড়ির ভাড়াটিয়া (৩৫) এর সাথে প্রেম করে আসছিল। শনিবার সে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর আসতে বলে।
ভিকটিম সন্ধ্যা ৬টায় রামগঞ্জ থেকে সোনাপুর আসলে খোকন ও তার বন্ধু মিজান তাকে রাত ৯টায় আন্ডারচরের একটি সুপারি বাগান বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে দিগম্বর করে ফেলে। তার পর মিজান গিয়ে মো. শহিদ (৩৫), মো. সিরাজ (৩২), নুর ইসলাম (৩৫), মো. রশিদ (২৮) নিয়ে আসে। তারা পালাক্রমে ভিকটিমকে গণধর্ষণের ফলে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে তাকে পুনরায় একের পর এক ধর্ষণ শুরু করে। এসময় তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয়রা ধর্ষিতাকে থানায় প্রেরণ করে। ধর্ষিতার শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে সুধারাম থানা পুলিশ ধর্ষিতাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
হাসপাতালের ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্স জানান, গণধর্ষণের কারণে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, রাতেই পুলিশ প্রধান আসামি খোকন (২৮) কে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।