দেশজুড়ে
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শিশুসহ মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় রাতের আঁধারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুসহ মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম করেছে বখাটের দল।
রবিবার (৩০ জুন) উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মধ্য পোঁয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বখাটেরা তাদের হুমকি দেয় ঘটনা কাউকে না বলার জন্য। এ কারণে ঘটনার ২দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে জানায়নি তারা। প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ে থানায় মামলা করতে সাহস পায়নি।
আহতরা ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধী থাকা অবস্থায় ঘটনা সম্পর্কে জানাজানি হলে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্য পোঁয়া গ্রামের মকবুল আহাম্মেদের মেয়ে আলিম পরীক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার সাথীকে (১৭) পার্শ্ববর্তী সুলতান আহম্মেদের ছেলে বখাটে ওয়াসিম বেশ কিছুদিন ধরে উত্যক্ত করতো।
সাথীর মা সাহিদা বেগম জানায়, ওয়াসিম বেশ কয়েকবার বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মাদরাসায় যাওয়ার সময় রাস্তায় সমস্যা করত। বিষয়টি মাদরাসার অধ্যক্ষকে জানানো হয়। কোনো উপায় না পেয়ে মেয়েকে অন্য মাদরাসায় ভর্তি করিয়েছি। এরই মধ্যে কয়েকদিন আগে মেয়ের জন্য অন্য জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে। সেটিও নাকচ করে দেয় সাথীর পরিবার।
এদিকে সাথীর বিয়ের প্রস্তাবের সংবাদ শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বখাটে ওয়াসিম। ওয়াসিম ও তার সঙ্গীরা রাতে সাথীর ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে তাদের। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই তাদেরকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘শিশুসহ তিনজনকে মারাত্মক আহত অবস্থায় নিয়ে আসে লোকজন। মুমূর্ষ অবস্থা থেকে বর্তমানে তারা কিছুটা উন্নতির দিকে।’
সাথীর পিতা মকবুল আহাম্মদ জানান, মামলা করলে আবারো হামলা করবে এই হুমকির আতংকে তারা মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন।
এদিকে সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সুমন্ত ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে গিয়েছেন। তিনি আহতদেরকে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।