জীবন-যাপন
বিস্ময়কর সংস্থা, এখানে কি হয় শুধু সদস্যরাই জানেন !
শম্পা জামান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
দি হোয়াইট জেন্টলমেন ক্লাব: পৃথিবীর সবচেয়ে অভিজাত ক্লাব হিসেবে জনপ্রিয় এই ক্লাব। এটি লন্ডনে অবস্থিত। ক্লাবটিতে শুধুমাত্র সমাজের অভিজাত শ্রেণীর মানুষেরই পদচিহ্ন পড়ে। অবশ্য ক্লাবটির শুরুর দিকের ইতিহাস ভিন্ন রকম। ফ্রাঞ্চিস বিয়াঙ্কো নামে এক লোক এটি তৈরি করে। নতুন ধরনের চকলেট বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ক্লাবটি তৈরী করা হলেও, বর্তমানে এটি এখন পৃথিবীর সেরা ক্লাব গুলোর মধ্য একটি। এই ক্লাবের সদস্য হওয়া রীতিমত একটি সম্মানের বিষয়। টাকা থাকলেও চাইলেই আপনি এর সদস্য হতে পারবেন না, হাজারটা কাঠ-খড় পুড়িয়ে আপনাকে এই ক্লাবের সদস্য হতে হবে। আশ্চর্য ব্যাপার হলো কি হয় এই ক্লাবে তা শুধু এই ক্লাবের সদস্যরাই জানে। বাইরের দুনিয়া এই ক্লাব সম্পর্কে অবগত নয়।
রুম ৩৯ (Room 39): মূলত একটি ক্রিকেট অরগানাইজেশন। এটি ১৯৭০ সালে উত্তর কোরিয়ায় গঠন করা হয়। ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটা গঠিত হয় তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এই অরগেনাইজেসনটিকে পৃথিবীর এমন সব বড় বড় অপরাধের সাথে জড়িত বলে ধরা হয়েছে যার সমস্ত কাজগুলো সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে করা হয়। এই সংস্থার বেশকিছু অপরাধের মধ্যে “সুপার ডলার” নামক শব্দটি বেশ আলোচনীয়। “সুপার ডলার” হচ্ছে আমেরিকান ডলারের নকল ভার্সন অথবা জাল ডলার যেটি পৃথিবীর সব গোয়েন্দা সংস্থা এমনকি আমেরিকার মত দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো, এগুলো ছিল মূল ডলারের মতই উন্নতমানের কটন- লিনেন বেন্ড দিয়ে তৈরি এবং আমেরিকার মুদ্রার অনেক সিকিউরিটি ফিচার এখানে রিক্রিয়েট করা হয়েছিল। এই পুরো ব্যাপারটার জন্য সরাসরি রুম ৩৯ এর দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছিল। বিভিন্ন রকমের নিষিদ্ধ অস্ত্র কেনাবেচা এবং সুইস ব্যাংকের কিছু একাউন্টের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে ইন্সিওরেন্স ফ্রডের জন্য এই অরগেনাইজেসনটি মূলত দায়ী।
রাফ মেনওয়িদ হিল: সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এক বিস্ময়ের নাম এই মেনওয়িদ হিল। এটি আমেরিকার ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত। এটি একটি মিলিটারি বেইজ যা ইখেলন গ্লোবাল স্পাই নেটওয়ার্কিং এর সাথে সংযুক্ত। আমেরিকা আর ইংল্যান্ডকে ইন্টিলিজেন্স সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই এই মেনওয়িদ হিল তৈরি করা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক মনিটরিং স্টেশন এর অবস্থান এখানে। তবে পুরো জায়গার চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই কঠোর যে সাধারণ মানুষের জন্য এই এলাকায় ঢোকা এক্কেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। রোমাঞ্চ প্রিয় কোনো মানুষ যদি কখনো এই জায়গায় ঢোকার স্বপ্ন দেখে তবে তা কেবল অমাবস্যার চাঁদ এর ন্যায় পরিলক্ষিত হবে।
আইস গ্র্যান্ড শ্রাইন, জাপান: জাপানের সবচেয়ে গোপনীয়,পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম আইস গ্র্যান্ড শ্রাইন। খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয় বলে ধারনা করা যায়। জাপানের রাজকীয় পরিবার আর প্রিস্ট ছাড়া এর ভিতর আজ পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। এই শ্রাইনটি প্রতি ২০ বছর পরে ভেঙ্গে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন ইতিহাসবিদদের মতে এককালের জাপানিজ সাম্রাজ্যের অনেক পুরনো মূল্যবান নথিপত্র এখানে লুকায়িত আছে,যেগুলো বিশ্বের সামনে আগে কখনই আসেনি।
ভ্যাটিকান সিক্রেট আর্চিভ: যুগ যুগ ধরেই ভ্যাটিকান সিটি মানুষের রহস্যের খোরাক যুগিয়েছে,সেই যীশুর আমলের আগ থেকেই পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী এই ভ্যাটিকান। এই জায়গাটিকে storehouse of secret বলা হয়। খুব কম সংখ্যক স্কলারই এই জায়গায় ঢুকতে পারেন, তাও পোপের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে। এখানে প্রায় ৮৪০০০টি বই আছে আর এই জায়গাটি প্রায় ৮৪ কি:মি: দীর্ঘ। ধারনা করা হয় খ্রিষ্টান, মেসনারি, প্যাগান আরও অনেক ধর্ম আর মতবাদের অনেক গোপন ডকুমেন্ট এখানে সংরক্ষিত আছে।