শিল্প-বানিজ্য
চালের আমদানি শুল্ক কমলেও কমেনি চালের দাম

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: চালের দাম কমাতে শুল্ক কমানো হয়েছে। কিন্তু এতেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে খাদ্যপণ্যে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি স্থিতিশীলতা আনতে সরকার আগামী চার মাসের জন্য চালের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। এই চার মাসের জন্য চালের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছে সরকার। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ১০ শতাংশে।
তবে এতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। চালের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে গড়ে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা দরে। এতে বাড়ছে চালের দাম। বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম জাতভেদে ৬৪ থেকে ৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মে মাসের মুদ্রাস্ফীতি ছাড়িয়ে গেছে বিগত আট বছরের রেকর্ড। খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি আকাশচুম্বী। মুদ্রাস্ফীতির এমন বেহাল দশা চালের দাম বাড়ায় আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশে বন্যা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছরের ধান আবাদে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বোরো মৌসুমের শুরুতে হাওড়ে আগাম পানি এসে কিছু ধান নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি চলমান বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ অবস্থায় চালের দামে লাগাম টানতে না পারলে নিম্নবিত্তদের খাদ্যনিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
/এএস