প্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

বিশ্বে বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে তেলের দাম

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বিশ্বে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে তেলের দাম। লিবিয়ায় তেলের ব্যাপক উত্তোলন ও করোনার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় তেলের দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হতে না হতেই অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় চার শতাংশ পড়ে যায়।

চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর ওপেক প্লাস জোটের দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে জ্বালানি তেলের বাজারের ভবিষ্যৎ সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হয়। এখন পর্যন্ত ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত, ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ৭৭ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল কম উত্তোলন করা হবে। জানুয়ারি থেকে আরো কমানো হবে ৫৮ লাখ ব্যারেল।

এদিকে দ্বিতীয় ধাপে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত সপ্তাহেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বড় পতনের মুখে পড়ে। দফায় দফায় কমে গত সপ্তাহে তেলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়।

এতে করে আজ অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর মাসের মধ্যে কমেছে ১২ দশমিক ২১ শতাংশ এবং বছরের ব্যবধানে ৪৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ দাম কমেছে।

গত সপ্তাহে শুরু হওয়া দরপতনের ধারা চলতি সপ্তাহের শুরুতেও দেখা দিয়েছে। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম এরই মধ্যে ১ দশমিক ৩৬ ডলার কমে ৩৪ দশমিক ৪৭ ডলারে নেমে গেছে।

বিশ্ববাজারে সাম্প্রতিক দরপতনের বিষয়ে ভান্দানা ইনসাইটের জ্বালানি বিশ্লেষক ভান্দানা হরি জানান, জ্বালানি তেলের বাজার আবারো ক্রমান্বয়ে বিষণ্নতায় ঢেকে যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, জ্বালানি পণ্যটির চাহিদার চিত্র এরই মধ্যে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে।

অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি বড় দরপতন হয়েছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের। প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম দশমিক ৭৩ ডলার বা ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে ৩৬ দশমিক ৭৩ ডলারে নেমে গেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং মাসের ব্যবধানে ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ দাম কমেছে। আর বছরের ব্যবধানে কমেছে ৪৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close