প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে অমিক্রন
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে প্রভাব বিস্তারকারী ধরন হিসেবে বিবেচনা করা হয় ডেলটাকে। কিন্তু নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণও বাড়ছে এবং এটিও ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলছে, এ পর্যন্ত ১০৬ দেশে ছড়িয়েছে অমিক্রন।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচও বলছে, বিশ্বজুড়ে ডেলটার সংক্রমণ কমছে, বাড়ছে অমিক্রনের সংক্রমণ। এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ডেলটার সংক্রমণ ছিল ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে সেটা কমে হয়েছে ৯৬ শতাংশ। আর অমিক্রনের সংক্রমণ গত সপ্তাহে ছিল ০.৪ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যে তথ্য পাওয়া যায়, তা থেকে এটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ডেলটার চেয়ে অমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে এবং এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে এটাও উল্লেখ করা হচ্ছে, এর সংক্রমণ স্থানীয়ভাবে ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া যাঁদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ভালো, তাঁদের মধ্যেও এর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে অমিক্রন নিয়ে নতুন তথ্য এসেছে। এই দুটি দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গুরুতর অসুস্থ কম হলেও করোনার এ ধরনের কারণে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে।
ওমিক্রনের দ্রুত বিস্তারের কথা উল্লেখ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোকে উদ্ভুত করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
ডাব্লিউএইচওর ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুগ মঙ্গলবার ভিয়েনায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউরোপ, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার ৫৩টি দেশে ওমিক্রনের ৩৮টি কেস শনাক্ত করা হয়েছে এবং এটি ডেনমার্ক, পর্তুগাল এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশি কিছু অঞ্চলে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, আরও একটি ঝড় আসছে, ওমিক্রন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলবে। তিনি আরো বলেন, ওমিক্রনের যে হালকা উপসর্গ যেমন কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বর আরও সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে এবং এ থেকে করোনা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।
হ্যান্স ক্লুগ বলেন, এই অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা।