তথ্যপ্রযুক্তি

বিশ্বসেরা হ্যাকার এখন টুইটারের নিরাপত্তাপ্রধান

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরে নিরাপত্তা ঝামেলায় আছে টুইটার। একদিকে রয়েছে নিয়ন্ত্রকদের চাপ, অন্যদিকে একাধিকবার টুইটার হ্যাক হওয়ার ঘটনা। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার পথে হাঁটল ‘খুদে ব্লগিং সাইট’ হিসেবে পরিচিত টুইটার। তারা বিশ্বের সেরা একজন হ্যাকারকে টুইটারের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিচ্ছে। তিনি প্রকৌশলতগত ভুল পদক্ষেপ ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মতো বিষয়গুলো দেখবেন।

গতকাল সোমবার টুইটার কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তাপ্রধান হিসেবে পেইতার জাতকোর নাম ঘোষণা করে। হ্যাকিং–জগতে তিনি ‘মাজ’ নামে বেশি পরিচিত। টুইটারে নিরাপত্তাপ্রধান পদটি নতুন। তিনি টুইটারের এ পদে থেকে বিভিন্ন কাঠামোগত ও চর্চিত বিষয়গুলোর পরিবর্তন বিষয়ে সুপারিশ করতে পারবেন। তিনি সরাসরি টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসির কাছে জবাবদিহি করবেন। দেড় থেকে দুই মাস পর্যালোচনার পর তিনি টুইটারের মূল নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেবেন।

জাতকো সম্প্রতি ইলেকট্রনিক লেনদেনের প্রতিষ্ঠান স্ট্রাইপের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করেন। এর আগে গুগলের বিশেষ প্রকল্পেও কাজ করেছেন। ওই প্রকল্প থেকে পেন্টাগনের ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সির (ডারপা) জন্য কাজ করা হতো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জাতকো বলেছেন, তিনি টুইটারের তথ্য নিরাপত্তা, সাইট, প্ল্যাটফর্মসহ চার ধরনের নিরাপত্তা পরীক্ষা করবেন। প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার, কারসাজি এবং প্রকৌশল দিয়ে এর কাজ শুরু হবে।

নব্বইয়ের দশক থেকে তিনি হ্যাকিং–জগতে কাজ শুরু করেন। তিনি ওই সময় সরকারের বিভিন্ন ক্লাসিফায়েড প্রকল্পে কাজ করেন। এর মধ্যে ‘কাল্ট অব দ্য ডেড কাউ’ নামের একটি হ্যাকিং গ্রুপে তিনি যুক্ত ছিলেন। গ্রুপটি মূলত উইন্ডোজ হ্যাকিং টুল উন্মুক্ত করত, যাতে মাইক্রোসফট তাদের নিরাপত্তা বাড়াতে পারে।

ডারপা প্রকল্পে জাতকোকে দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ড্যান কাফম্যান বলেন, ‘টুইটারের নিরাপত্তা কেউ ঠিক করতে পারবে কি না, জানি না। তবে কেউ যদি পারে, তাদের তালিকায় জাতকো শীর্ষে থাকবেন।’

টুইটার বর্তমানে নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার অভিযোগ তোলে যে টুইটারের সাবেক দুজন কর্মী সৌদি আরবের হয়ে গোয়েন্দাগিরি করছে। তারা ওই দেশের সমালোচকদের ব্যক্তিগত তথ্য পাচার করছে।

ফেসবুকের সাবেক নিরাপত্তাপ্রধান অ্যালেক্স স্টামোস বলেন, এবারের গ্রীষ্মে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি দেখিয়েছে যে টুইটারকে কতটা কী করতে হবে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close