শিক্ষা-সাহিত্য
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার নীলনকশা বুনছে ইউজিসি’
বাকৃবি প্রতিবেদকঃ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত অভিন্ন ও অসঙ্গতিপূর্ণ নীতিমালার মাধ্যমে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উস্কানি দেওয়া হয়েছে। এই নীতিমালাটি বাস্তবায়ন হলে দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা, কৃষি, প্রকৌশল, শিল্প ও কারিগরি ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে। এদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত। অথচ ইউজিসি এই অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার নীলনকশা তৈরী করছে।
বৃহস্পতিবার(০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মুক্তমঞ্চের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে ইউজিসি দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে যে অভিন্ন নীতিমালা পাশ করে মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে তা সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য। অভিন্ন নীতিমালায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে তা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কঠোরতর। প্রস্তাবিত নীতিমালায় আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অপমান করা হয়েছে। এ নীতিমালার মাধ্যমে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উস্কানি দেওয়া হয়েছে। এতে করে ইউজিসি শিক্ষার মান উন্নয়ন, গবেষণা ও শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা না বাড়িয়ে উল্টো উচ্চশিক্ষাকে গলাটিপে হত্যার ব্যবস্থা করছে। তাই দ্রুত আমরা এই অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবী জানাচ্ছি। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর আন্দোলনে মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে।
বক্তারা আরও জানান, বর্তমানে বাকৃবির শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নের বিদ্যমান নীতিমালা অনেক স্বচ্ছ ও যুগোপযুগী। ইউজিসি চাইলে এ নীতিমালা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সুপারিশ করতে পারে।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম.এ. সালাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুর/আরএম