দেশজুড়ে
বিমানের প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী বরখাস্ত
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক প্রকৌশলী গ্রুপ ক্যাপ্টেন খন্দকার সাজ্জাদুর রহিমের (অবঃ) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে বিমানের পরিচালনা পর্ষদ। এছাড়াও প্রধান প্রকৌশলী গাজী মাহমুদ ইকবালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে লিজে আনা দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ ফেরত সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান পরিচালনা পর্ষদ।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় এক বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত দেয় পরিচালনা পর্ষদ।
বিমান পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ও বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালে মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে ৫ বছরের চুক্তিতে ড্রাই লিজে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ সংগ্রহ করে বিমান। ২০১৪ সালের মার্চে একটি ও অন্য উড়োজাহাজটি যুক্ত হয় একই বছর মে মাসে।
লিজের চুক্তি অনুসারে উড়োজাহাজ দুটি যাত্রী পরিবহন করুক আর না করুক, মাসে উড়োজাহাজ প্রতি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ডলার (৪ কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার টাকা) ভাড়া দিতে হবে। সব ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বিমানকে বহন করতে হবে। ৫ বছরের আগে চুক্তি বাতিল করতে পারবে না বিমান। লিজের মেয়াদ শেষে উড়োজাহাজ দুটি আগের অবস্থায় (ভাড়া নেওয়ার সময় যে অবস্থায় ছিল) ফেরত দিতে হবে।
তবে ত্রুটিপূর্ণ উড়োজাহাজ দুটি দীর্ঘ সময় বিকল হয়ে পড়ে থাকে।
লিজে আনা দুটি উড়োজাহাজ আনার ক্ষেত্রে বিমান কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আছে কি না, খতিয়ে দেখা শুরু করে মন্ত্রণালয়। বিমান দুটি ফেরত দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয় মন্ত্রণালয় থেকে।
এ বছর ১৬ জুলাই একটি উড়োজাহাজ ইজিপ্ট এয়ারকে ফেরত দেয় বিমান। ফেরত পাঠাতে পাওনা পরিশোধসহ ৪১ কোটি ডলার খরচ হয় বিমানের। অন্যটি এখনও ফেরত দিতে পারেনি বিমান।