খেলাধুলা
বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী মুশফিক!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে মুশফিকের সংগ্রহ ১২ ফিফটিতে ১৯৩৬ রান।তিনিই বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী।
অবশ্য মাত্র ১ রান পিছিয়ে তামিম। তার সংগ্রহ ১৯৩৫ রান। অবশ্য ফিফটিতে এগিয়ে তিনি। ড্যাশিং ওপেনারের হাফসেঞ্চুরি ১৭টি।
মুশির বিদায়ের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি খুলনা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা।
শনিবার দুপুরে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট থান্ডার। ভূমিকাতেই রবি ফ্রাইলিংকের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন আব্দুল মজিদ। পরে জনসন চার্লসকে নিয়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন আন্দ্রে ফ্লেচার। একপর্যায়ে দুজনই ক্রিজে সেট হয়ে যান। রীতিমতো চোখ রাঙান তারা। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে খুলনা টাইগার্স বোলারদের কচুকাটা করেন উভয়ই।
পথিমধ্যে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন ফ্লেচার-চার্লস। এরপর আরো শাসাতে থাকেন তারা। তাতে দিশেহারা হয়ে পড়ে খুলনা। বোলার সেট করতেই হিমশিম খায় তারা। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান চার্লস। মনে হচ্ছিল সেটা সময়ের ব্যাপার। তবে তাতে বাদ সাধেন শহিদুল ইসলাম।
দুর্দান্ত স্লোয়ার ডেলিভেরিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন তিনি। ফেরার আগে মাত্র ৩৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এ ক্যারিবিয়ান। এরপর হুট করে ফ্রাইলিংকের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন।
ঝড় তুলে ফিরে যান চার্লস। তবে থেকে যান ফ্লেচার। তার তাণ্ডব চলতেই থাকে। তাকে সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক হোসেন। তাতে বিশাল সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় সিলেট। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান ফ্লেচার। তবে আচমকা থেমে যান মোসাদ্দেক। রবিউল হকের বলে রাইলি রুশোর দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।
খানিক পরেই কাঙ্ক্ষিত ৩ অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ফ্লেচার। সেই রেশ না কাটতেই শফিউল ইসলামের শিকার হন নাজমুল হোসেন মিলন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩২ রানের পাহাড় গড়ে সিলেট। এবারের আসরে এটি দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ রান। প্রথমটি ২৩৮ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। সবমিলিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ।
৫৭ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ফ্লেচার। এবারের টুর্নামেন্টে এটি প্রথম সেঞ্চুরি। সবমিলিয়ে ১৪তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। খুলনার হয়ে রবি ফ্রাইলিংক নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট।
/এনএ