খেলাধুলা
বিপিএলে একই দলে মাশরাফি-সাকিব!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল যদিও সব কিছু মানে চুক্তি, নিবন্ধন, বাইলজ, প্লেয়িং কন্ডিশন ও অন্যান্য নিয়ম-কানুন এবং ক্রিকেটার ও কোচ দলে নেয়ার সব প্রক্রিয়া নতুন ভাবে করতে চাচ্ছে, কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও ‘নাছোড়বান্দা।’ তারাও অন্তত দুজন বিদেশি আর একজন আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির পারফরমার আগে থেকে দলে রাখার নিশ্চয়তা চায়। মানে অন্তত দুজন বিদেশি দলে ভেড়ানোর পাশাপাশি দেশের আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির তারকাকে আগে থেকে দলে নেয়ার দাবিতে সোচ্চার।
গতকাল (সোমবার) ঢাকা ডায়নামাইটস আর খুলনা টাইটান্স- রাজশাহী কিংস এবং আজ দ্বিতীয় দিন একই দাবি করেছেন রংপুর রাইডার্সের ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও।
বলার অপেক্ষা রাখেনা, রংপুর এরই মধ্যে এ প্লাস ক্যাটাগরির পারফরমার ও আগের দুইবারের অধিনায়ক মাশরাফিকে বাদ দিয়ে সাকিবকে নিতে আগ্রহী। সাকিবের সাথে কথা বার্তা চূড়ান্ত করে চুক্তিও সম্পন্ন।
এখন প্রশ্ন হলো, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল যদি আলোচনার টেবিলে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির বা সংখ্যাগরিষ্ঠ ফ্র্যাঞ্চাইজির আবেদন কিংবা দাবি যাই বলা হোক না কেন, তার প্রেক্ষিতে সত্যিই আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির তারকাকে দলে ভেড়ানোর দাবি মেনে নেয়; তখন আর ঢাকা ডায়নাইমাইটসে নয়, সাকিব হবেন রংপুরের। তাহলে মাশরাফি বিন মর্তুজার কি হবে? জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক কোথায় খেলবেন ?
এ প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। তা নিয়েও রাজ্যের জল্পনা-কল্পনা। গুঞ্জন। তবে রংপুর সিইও ইশতিায়াক সাদেকের কথা শুনে মনে হলো, তারা মাশরাফিকেও দলে রাখতে আগ্রহী। একইসঙ্গে দুই তারকা ক্রিকেটারকে দলে রাখারও বিকল্প চিন্তা আছে তাদের। কিন্তু কিভাবে?
মাশরাফিও আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির খেলোয়াড়। এক দলে দুজন আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার থাকতে পারবেন না। যত নিয়মই বদলাক না কেন, এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটার কোনই সম্ভাবনা নেই। প্রতি দলে একজনের বেশি আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার থাকতে পারবে না। তাহলে সাকিব আর মাশরাফি একত্রে রংপুরে খেলবেন কি করে?
জটিল মনে হচ্ছে, তাইনা? তা একটু লাগবে বৈকি। তবে রংপুরের পরিকল্পনা শুনলে আর তা জটিল মনে হবে না। রংপুর সিইও জানালেন, তারা মাশরাফিকেও দলে রাখতে চান। সেটা কিভাবে?
রংপুর সিইও ইশতিয়াক সাদেকের নিচের কথাগুলো একটু লক্ষ্য করুন। পরিষ্কার হবে, আসলে রংপুর কোন হিসেব কষে মাশরাফিকেও রেখে দেয়ার চিন্তা করছে। ইশতিয়াক বলেন, ‘মাশরাতি তো আমাদের ঘরের ছেলে। আমি যতটুকু জানি মাশরাফি যদি অবসর নেয় (বিপিএলের আগেই), তাহলে সে আইকন থাকবে না। আমাদের চিন্তা ছিল আমাদের রিটেনশনে মাশরাফিও পড়ে যায়। তবে মাশরাফি- সাকিব দুজনেই রংপুরে খেলবে।’
ইশতিয়াক সাদেক বোঝানোর চেষ্টা করেন, মাশরাফি যেহেতু এখনো জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক, তাই তাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়। মানে আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। কিন্তু তিনি জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ালে হয়তো তাকে আর আইকন রাখা হবে না। আর তিনি তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলে খেলেন না। তাই এবার এ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকার সম্ভাবনা কমে যাবে।
এ কারণেই তার মুখে এমন কথা, ‘এমনকি মাশরাফি গত বছর থেকেই আইকন না থাকতে চেয়েছিল। কারণ সে টি-টোয়েন্টিতে নেই। বিপিএল যেহেতু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এথিক্যালি বা লজিক্যালি মাশরাফিকে আইকন রাখা যায় না। আইকন হবে নতুন কেউ, খুব প্রমিসিং। বোর্ড বলছে আমরা নিজেরাও জানি আমাদের দেশে সাতজন প্রপার আইকন খুঁজে বের করাই মুশকিল। সে হিসেবে মাশরাফিরও ইচ্ছা নাই আইকন থাকার। এবং এ বছরও আমি যেটা শুনেছি ওয়ানডে থেকে যদি সে অবসর নেয়, তবে আইকন থাকার কথা না তার। আমাদের পরিকল্পনায় কিন্তু মাশরাফিও রিটেনশনে পড়ে যায়। কিন্তু বোর্ড এখানে যদি নতুন নিয়ম আবার এনে দেয়!’
রংপুরের সিইওর শেষ কথা, মাশরাফিকে যদি ওপেন করে দেয়া হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা তাকে দলে রাখতে চাইব। সেক্ষেত্রে একই দলে একসঙ্গে দেখা যেতে পারে সাকিব-মাশরাফিকে।