তথ্যপ্রযুক্তি

বিটিআরসির পাওনা নিয়ে এখনও আলোচনার আশায় গ্রামীণফোন

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা পাওনা দাবির বিষয়টি এখনও আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করতে চায় গ্রামীণফোন। সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মত বিনিময়ে গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলছেন, বিষয়টি তারা এখনও আলোচনার মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে সুরাহা করতে চান।

আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার প্রশ্নে গ্রামীণফোন সিইও বলছেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট, আমরা এখানেই বিষয়টির সুরাহা করতে চাই। এটি আলোচনার মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে সমাধান করতে চাই। শেয়ার হোল্ডাররা রয়েছেন, আন্তর্জাতিক আদালতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত তারা নেবেন।’

পাওনা দাবি আদায়ে বিটিআরসির প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুব ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কোনো চাপের মধ্যে থাকতে চাই না, গ্লোবালি ফ্রন্ট পেইজের স্টোরি হতে চাই না যা এই দেশের জন্য এবং দেশের গ্রাহকের জন্য ভাল হবে না।

আলোচনায় সমাধান চাইলে গ্রামীণফোন কেন আদালতে গেল, এমন প্রশ্নে অপারেটরটির ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, অক্টোবরের ১৭ তারিখে আদালতে গিয়েছেন তারা। কিন্তু ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর বিটিআরসি প্রশাসক বসাতে তৈরি হয়েছে এবং অনুমোদন নিয়ে নিয়েছে এমন খবর গণমাধ্যমে জেনে তারা বাধ্য হয়েছেন কোর্টে গিয়ে এটি বন্ধ করতে।‘

আদালতের রায়ের বিষয়ে প্রেক্ষাপট তুলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে বাংলাদেশের কোর্ট সিস্টেমের উপরে। এটা আমরা চাই এখানে যে জাজমেন্ট দেয়া হবে তা ফেয়ার হবে এবং আমরা টেবিলে ফেরত আসবো। কিন্তু যেই জাজমেন্ট আসবে সেটার উপর বেইজ করে যদি চেইঞ্জ করতে হয় তাহলে চেইঞ্জ করতে বাধ্য হবো। এখন আমরা মনে করি, টেবিলে ফেরত আসবো।’

বছরের পর বছর ধরে অডিট করা নিয়ে নানা জটিলতা, আইন-আদালতের পর শেষ পর্যন্ত তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে করানো অডিটে বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে। একই সঙ্গে রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা দাবি নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির।

আর এই দাবি আদায়ে ব্যান্ডইউথ ক্যাপাসিটি ব্লক, এনওসি বন্ধ, লাইসেন্স বাতিলে কারণ দর্শানো নোটিশের মতো ব্যবস্থা নেয় বিটিআরসি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close