বিনোদন
বিখ্যাত আজম খান চলে যাওয়ার ১০ বছর
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বাংলা পপ গানের মুকুটহীন সম্রাট আজম খান। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এক হাতে রাইফেল, অন্যহাতে গিটার নিয়ে রণাঙ্গণে লড়েছেন তিনি। তারপর স্বাধীন বাংলাদেশে পপ গানের গুরু হয়েছেন। আমৃত্যু থেকেছেন সঙ্গীত আর খেলাধূলার সাথে। আজ তাঁর দশম প্রয়াণ দিবস।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সঙ্গীত শিল্পী ও ক্রিকেটার- এই মানুষটিকে সবাই চেনে পপসম্রাট আজম খান হিসেবে। বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সঙ্গীতে অগ্রপথিক তিনি।
১৯৫০ সালে পুরান ঢাকায় জন্ম। সময়ের প্রয়োজেনে জ্বলে উঠেছেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ অংশ নিয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। অপারেশন তিতাসের মতো দুর্ধর্ষ গেরিলা অপারেশনের মাধ্যমে নিজের নাম জানান দিয়েছিলেন শত্রুদের কাছেও। ক্যাম্পে থাকার সময় বাটি আর চামচকে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান গেয়ে সাহস যুগিয়েছেন অন্যদেরও।
মুক্তিযুদ্ধের পর গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’। ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’, ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’, ‘রেললাইনের ঐ বস্তিতে’ গানগুলো তাকে নিয়ে আসে গণমানুষের কাছে।
‘আমি যারে চাইরে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অনামিকা’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’ সহ গানগুলো এখনো পথ দেখিয়ে চলছে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের।
গানের পাশাপাশি নাটক, সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন তিনি। কাজ করেছেন বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও। প্রথম বিভাগের ক্রিকেট খেলেছেন ক্লাবের হয়ে। দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নতুন সাঁতারুদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বও পালন করেছেন বেশ কিছুদিন।
২০১০ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পরের বছর আজকের এই দিনেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
/আরএম