দেশজুড়ে
বিএনপি তৃণমূলে কাটছে না সংশয়, নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ধোঁয়াশার মধ্যে পড়ে আছে বিএনপির তৃণমূল। উত্তরণের পথ খুঁজে না পাওয়ায় গভীর হচ্ছে সংকট। জন্ম দিচ্ছে নানা গুঞ্জন ও সমালোচান। সব মিলিয়ে গোলক ধাঁধায় পড়ে আছে তৃণমূল বিএনপির। এমন প্রেক্ষাপটে বিভ্রান্তিতে পড়ে আছে তারা।
প্রশ্ন উঠেছে, সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান জাহিদ এখনো কি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত? প্রশ্নটা উঠেছে সঙ্গত কারণেই। জাহিদুর সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিয়েছেন বলে দল তাকে দূরে ঠেলে দেয়া হয়েছে। অথচ তার পরে শপথ নেন আরও চারজন। কিন্তু জাহিদুরের ব্যাপারে পরবর্তীতে কোনো সিদ্ধান্তই নেয়নি দল।
এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নিয়ে উপ-নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এমন শত সিদ্ধান্তে সব গোলমেলে ঠেকছে কর্মী-সমর্থকদের কাছে। অন্যরা শপথ নিলে ফখরুল কেনো নিলেন না? আবার জাহিদ কেনো বহিষ্কৃত হলেন? অথবা, উপ-নির্বাচনেই কেনো অংশ নিতো হলো?
এদিকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীদের মনে জমাট বেঁধেছে নতুন প্রশ্ন। তারা বলছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত আসলে কোথায় থেকে আসছে সেটা নিশ্চিত নয় তৃণমূল। কেননা, বগুড়া-৬ আসনে মনোনয়ন নিয়ে ঘটেছে অভিনব ঘটনা। দলের কারাবন্দী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ফরম তুলে সই নিয়ে আসতে গেলে তিনি রেগে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ ওই আসনে বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়টি খোদ বেগম জিয়ারই জানা ছিলো না। ফলে যে যার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপির রাজনীতি চালাচ্ছে কিনা সে প্রশ্নও ঘুরছে তৃণমূলে। সব মিলিয়ে বিএনপিতে কী হচ্ছে বুঝতে পারছেন না একনিষ্ঠ ভক্ত অনুসারীরাই। দল কী করতে যাচ্ছে, কী চাইছে, তার কোনো আভাস নেই কোথাও।
এমন খাপছাড়া অবস্থান নিয়ে তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। তবে দলের শৃঙ্খলার কথা চিন্তা করে এ নিয়ে সরাসরি মুখ খুলছেন না কেউ। শুধু তাই নয়, এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে যারা নানা হুঁশিয়ারি দিতেন তাদেরও শেষমেশ চুপ থাকতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে।বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে তৃণমূলের রাজনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।