দেশজুড়ে
বাবা-মায়ের সামনে ট্রেনে কাটা পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নাটোরের লালপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে হাসানুজ্জামান ইমতিয়াজ (২২) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মারা গেছেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে থেকে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা ফসকে তাঁর মৃত্যু হয়। সন্তানের মৃত্যুর ঘটনার পর দীর্ঘ সময় স্তব্ধ ও বাকরুদ্ধ ছিলেন নিহতের বাবা-মা।
শনিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে উপজেলার আব্দুলপুর জংশন স্টেশনে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীগামী কমিউটার ট্রেনে (আপ-৫৭) এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীর রূপপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পাবনা জজকোর্টের আইনজীবী মো. ইসাহাক আলীর ছেলে। তিনি রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী আরিফুল ইসলাম বলেন, কমিউটার ট্রেনে একসঙ্গে তাঁরা ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীতে যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ালে ইমতিয়াজ পুরি খাওয়ার জন্য ট্রেন থেকে নামেন। এ সময় ট্রেনটি ছেড়ে দিলে দৌড়ে ট্রেনের হাতল ধরে ওঠার চেষ্টা করলে হাত পিছলে ট্রেনের নিচে পড়ে যান। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাওয়ার পর লোকজন তাঁর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার সময় ইমতিয়াজের মা-বাবা ট্রেনের ভেতরে বসে ছিলেন। নিজের চোখের সামনেই সন্তানের মৃত্যুর ঘটনার পর তাঁরা দীর্ঘ সময় স্তব্ধ ও বাকরুদ্ধ হয়ে থাকেন। বছরখানেক আগে তাঁদের আরেক মেয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার মো. জিয়াউদ্দিন বলেন, শনিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রাজশাহীগামী কমিউটার ট্রেনে ছেড়ে যেতে শুরু করলে হাসানুজ্জামান ইমতিয়াজ দৌড়ে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করলে পা ফসকে প্ল্যাটফর্মের নিচে পড়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার পুলিশের (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিহির রঞ্জন দেব বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/আরএম