বিশ্বজুড়ে
বাবাকে অপর নারীর সঙ্গে দেখে ফেলায় নিজ মেয়েকে ধর্ষণ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শিকলে বেঁধে ১৭ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন তার বাবা। ভারতের রাজস্থান প্রদেশের জালোর জেলায় নিজ বাড়িতেই নির্মম এ নির্যাতনের শিকার হন ওই তরুণী। স্থানীয় পুলিশের বরাতে অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী জানিয়েছেন, তার বাবা তার হাত ও পা ভারী চেইন দিয়ে বেঁধে তাকে ধর্ষণ করেছেন। তিনি তার বাবাকে অপর এক নারীর সঙ্গে দেখার পরপরই তার বাবা তাকে শেকল দিয়ে বেঁধে নির্মম এই নির্যাতন করেন।
পুলিশের দেয়া ভাষ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বাড়ি থেকে পালিয়ে তার নানার বাড়ি যান। তারপর তরুণীর হয়ে স্থানীয় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দাখিল করেন তার মামা। তরুণী বলেছেন, তার বাবা কয়েক দিন ধরেই তাকে চেইন দিয়ে বেঁধে রেখে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন।
ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর মামা বলেন, সাত বছর আগে তার বোন অভিযুক্ত ধর্ষককে ছেড়ে চলে যান। স্বামীর হাতে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হওয়ার পর বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তারপর তিনি অন্য একজনকে বিয়ে করেন। তবে তার মেয়ে বাবার সঙ্গেই ছিল এতদিন।
বাবার হাতে নিয়মিত নির্যাতিত হতে থাকা ওই তরুণী গত শুক্রবার সুযোগ পেয়ে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। সে বাড়ি থেকে পালিয়ে তার মামার বাড়ির পাশের একটি মাঠে পড়েছিল। এক পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় মামার বাড়ির মানুষ লোকজন।
ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী জানিয়েছেন, তার বাবার অন্য এক নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তিনি তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখেছিলেন। তারপর থেকেই তার পায়ে শেকল বেঁধে রাখা হয়। তরুণীর অভিযোগ, শেকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করতো তার বাবা।
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গিরিধর সিং বলেন, পুলিশের কাছে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দাখিল হয়েছে। তারপর মামলাটি পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শককে সেই মামলা তদন্তের ভার দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষাও করা হয়েছে।