প্রধান শিরোনামভ্রমন
বাতাসের নৌকায় ৮০০ কিলোমিটার ভ্রমণের রোমাঞ্চকর গল্প
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সামাজিক মাধ্যমে হুট করেই নতুন বিষয়াদির দেখা মিলে আর তা ভাইরাল হয়ে যায়। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে রাব্বি, রাকা ও রিজভি নামের তিনজন সাহসী অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের ৮০০কিলোমিটার পথ বাতাসের নৌকায় পাড়ি দেয়ার এক রোমাঞ্চকর গল্প।
ঢাকা অর্থনীতির পাঠকদের জন্য তাদের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল-
ক্যামেরা মোবাইল সব চার্জে দিয়ে রাতের বেলা আমরা গুগুল আর্থে খুজতে শুরু করলাম নদীর ধার পর্যন্ত রাস্তা গেছে কোথায় আশে আশে। সদরঘাট এলাকা এভয়েড করতে চাচ্ছিলাম – ভীড় বেশি আর ঘাটে কুলিরা ভেজাল করে অহেতুক। বসিলা ব্রিজের আগে একটা জায়গা মার্ক করে ঘুমাতে গেলাম সবাই, ভোরে উঠতে হবে – শুরু হবে আমাদের ৯ দিনের পানি পথের যুদ্ধ যাত্রা।
ভোর বেলা বের হয়ে নৌকা রেডি করে নামতে নামতে ৮ টা বেজে গেলো, আমরা যাবো ঢাকা থেকে দক্ষিণের সমুদ্রের মাঝে চর কুকড়ি-মুকড়ি। পথ প্রায় ৩৫০+ কিলোমিটার (নদীতে যেহেতু অনেক ঘুরে ঘুরে যেতে হয় আরো বেশি হবে – আমরা গুগুল ম্যাপে সোজা দাগ দিয়ে দিয়ে মেপে ধারনা করেছি)। আগের হিসাব মতে ঘন্টায় ২০ কিলো বেগে ১০ ঘন্টা চালানোর প্ল্যান প্রতিদিন, দিনে টারগেট ১৫০ কিলো।
জিপিএস বের করে মেপে দেখি নৌকা হিসাবের থেকে আস্তে চলছে, ১৪-১৫ এর বেশি স্পীড উঠছে না, একগাদা রসদ আর ক্যাম্পিং এর সরঞ্জাম সহ ভারী বোটছোট ইঞ্জিন টান্তে পারছে না – আমি রিজভি কে ঝাড়ি দিলাম দা আর এত বড় তেরপল আনার জন্য। যাইহোক আমরা বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী হয়ে মেঘনা তে পড়লাম তখন দুপুর ১২ টা বেজে গেছে, মেঘনা পাড়ে একজায়গায় বসে নুডুলস দিয়ে দুপুরের খাওয়া সেরে একটু জিরিয়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম, চাদপুর পার হয়ে আজকে যেতে হবে ভোলার শুরুতে।
একটু পরে চাঁদপুরের কাছে পদ্মা মেঘনার মোহনাতে এসে আমাদের সব হিসাব নিকাশ গুলিয়ে গেলো। প্রমত্তা মেঘনা আমাদের ছোট্ট নৌকাকে নিয়ে শুরু করলো ছিনিমিনি খেলা। চাঁদপুর যখন পার হলাম আমরা মানুষিক ও শারীরিক ভাবে বিপর্যস্ত, এদিকে সন্ধ্যা নেমে আসছে। ঢেউ এর সাথে যুদ্ধ করতে করতে ২ ঘন্টার পথ ৫ ঘন্টা লাগিয়ে দিয়েছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, প্রচন্ড স্রোতের কারনে পাড়ে ভিড়তে পারছি না। হরিনঘাটা ফেরি ঘাট পার করে বামে দেখি একটা খাল- সেখানে ঢুকিয়ে দিলাম নৌকা – থামতে তো পারবো তাতে রাত কাটানোর জন্য। খালের পাড়ে একটা খোলা উচু জায়গা দেখে আমরা থামলাম, গ্রামের কয়েকজনের সাথে কথা বলে এখানেই রাত কাটাবো ঠিক হলো। রাকা গেছে এক বাড়িতে চাপকলে গোসল করতে। এর মাঝে পাশের এক বাড়ি থেকে কয়েকজন মহিলা এসে আমাদের এখানে থাকতে মানা করলেন – বললেন গ্রাম দেশে রাতে ডাকাত আসে – চিৎকার দিলেও কেউ ঘরের বাইরে আসবে না। আমরা যেনো পাশে তার বাসায় এসে উঠি। নৌকাটা সরিয়ে উনাদের বাসার ঘাটে বেঁধে আমরা উনাদের উঠানে তাবু পাতলাম, যদিও উনারা বার বার বলছিলেন ঘরে থাকতে।
২য় দিন ভোরে উঠে আমরা আবার রওনা দিলাম, গ্রামের খালা আমাদের চা বিস্কিট খাওয়ায়ে বিদায় দিলেন। এইবার খাল থেকে বের হয়ে আমাদের আবার মেঘনার ওইপারে যেতে হবে – মোহনার আগে আর পরের মেঘনার ভেতর আকাশ পাতাল পার্থক্য। দুইবারের চেস্টায় পার হলাম আবার মেঘনা, ওইপারে ঢেউ এর অবস্থা আরো খারাপ, এদিকে পেটে ছুচো নাচছে। হাতের পাশে এক খাল দেখে ভেতরে ঢুকার চেস্টা করার আগেই স্রোতের টানে এগিয়ে গেলাম, ঠিক করলাম পরেরটা আগে থেকে সাইড করতে হবে। পরের খালের পাশে একটা ছট্ট বাজার দেখে দাড়ালাম, আমাদের বোটের তেল শেষের দিকে – চাঁদপুরের কাছে নেয়ার কথা মনে ছিলো না। পরোটা ডিম রোল খেতে খেতে মাঝিদের সাথে আলাপ করলাম, এই খানে পেট্রোল নাই কারন এইটা একটা চর, তারা বল্লো হিজলা গেলে তেল পাবো। আর খালের ভেতর দিয়ে যেতে বল্লো, তাতে পথ বেশি হলেও ঢেউ/স্রোত বেশি নাই।
আমরা গুগুল আর্থ দেখে খাল বুঝে বুঝে আগাচ্ছি – এইখানে চরের মাঝে তেল শেষ হলে এখানেই কোথাও রাত কাটাতে হবে আর তেলের ব্যবস্থা করতে হবে। যাইহোক শেষ পর্যন্ত আমরা খাল দিয়ে বের হয়ে হিজলা পৌঁছালাম, সেখানে ২-৩ টা ঘাট খুজে তেল নিয়ে আবার মেঘনাতে নামতে হলো – খাল ধরে যাওয়া শেষ আজকের মত। দুপুরের পরে আমরা তখন ভোলার পাশ দিয়ে যাচ্ছি – আকাশ কালো করে ঝড় আসছে। আমরা কোনরকমে বৃষ্টির ভেতরে ভোলার দনিয়া নামের এক বাজারে দাড়ালাম। এক চায়ের দোকানে বসে ঝড় থামার অপেক্ষা করছি। ম্যাপে দেখি তেতুলিয়া ইকো পার্কের কাছেই আমরা, এর ভেতর উৎসুক দর্শকের ভেতর থেকে পার্কের ম্যানেজার এসে পরিচয় দিলো – টিওবির একটা ক্যাম্প হয়েছিলো কথা প্রসঙ্গে উনি অনুরোধ করলেন এই আবহাওয়ায় আজকে আর না যেতে কোথাও- উনার পার্কে আমরা তাবু খাটায়ে থাকতে পারবো। এদিকে ভোলা থেকে নায়িম আর লিমন ফোন দিয়ে যাচ্ছে, ঝড় থামলে আর ৩০ কিলো আগায়ে মেঘনা ইকো পার্কে আসতে বললো। সেখানে প্লেসটা ভালো আর ওরা আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছে।
বিকেলে ঝড় থামলে আমরা আবার যাত্রা শুরু করলাম, গন্তব্য দোলতখান ঘাটের পরে “মেঘনা ইকু পার্ক”। সন্ধার আগে আগে পোঁছালাম। নায়িম আর লিমন দুপুরের খাবার নিয়ে বসে আছে, সবাই খেয়ে নিয়ে আমরা বসে আছি। নায়িম আর লিমন গেছে বাসায় ব্যাগ গুছাতে, ওরাও যাবে কালকে আমাদের সাথে কুকড়ি। এর ভেতরে লোকাল কিছু ছেলে এসে জিজ্ঞাসা শুরু করলো আমরা কি জন্য এসেছি, এখানে থাকা যাবে না ইত্যাদি। নায়িম কে ফোন দিলাম – সে বলে মেম্বার ও উইনিয়ন পরিষদে বলে পারমিশন নেয়া আছে। এর ভেতরে কম বয়সি একজন জিজ্ঞাসা করলো চিটাগাং এর সাকিব কে চিনি কিনা আমরা, বললাম যে চিনি – ফোন দেন। সাকিবের সাথে কথা বলে তারা আশ্বস্ত হলো আমরা চোর ডাকাত না। এইবার সে অন্যদের বুঝালো যে আমরা এডভেঞ্চার করি ইত্যাদি ইত্যাদি – বাকিরা মন খারাপ করে ফিরে গেলো। এর ভেতরে মেম্বার সাহেব ফোন করে বলেছেন কেউ ঝামেলা করলে উনাকে যানাতে।
নায়িম আর লিমন রাতের খাবার নিয়ে এসেছে বাসা থেকে রান্না করে – এলাহি কারবার। কিন্তু কপালে শনি তখনো কাটে নাই। রাতে এক দল পুলিশ হাজির। বললাম যে পথে ঝড় হওয়ায় আর সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আমরা আজকে এখানে আশ্রয় নিয়েছি, ইউনিয়ন পরিষদে জানানো আছে। নাম পরিচয় বৃত্তান্ত জেনে এসআই সাহেব বললেন এখানে থাকা যাবে না। আপনাদের নিরাপত্তা কে দিবে, আপনারা চলে যান।
আমি জানতে চাইলাম এই রাতের বেলা নৌকা নিয়ে মেঘনা তে নামলে কি সেটা আমাদের জন্য বেশি নিরাপদ নাকি শুকনা মাটিতে আমরা নিরাপদ? উনাকে এটাও বুঝালাম নৌকা রেখে তো আমরা হোটেলেও যেতে পারবো না, নৌকা চুরি হয়ে যাবে বা নস্ট করে দিবে কেউ। উনি বুঝলেন, আর বললেন ভেজালে পড়সেন উনি। আমাদের পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন কিন্তু বোরহানউদ্দিনের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও উনাকে ফোন করে পাঠিয়েছেন – কে নাকি ইউএনওকে ফোন করে জানিয়েছেন আমাদের কথা। আমাদের সামনেই এসআই সাহেব ফোন দিয়ে ইউএনও সাহেবকে পরিস্থিতি বর্ণনা করলেন বেশ পজিটিভ ভাবে – আমাদের পরিচয় ও আমরা যে হাসবেন্ড ওয়াইফ এবং ঝড়ের জন্য আটকা পড়েছি (ফোনের দুইপাশের কথাই আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম) – ইউএনও বেশ একটা ঝাড়ি দিলেন এসআই সাহেবকে – বললেন এদের বলো যেখানে খুশি যাক কিন্তু বোরহানুদ্দিনে থাকতে পারবে না এরা। লাও ঠেলা – এই রাত বিরাতে এখন কই যাই আমরা। এসআই সাহেব বললেন, আপনারা খালের ভেতরে জেলেদের নৌকার সাথে নৌকা বেঁধে রেখে একটা বোর্ডিং-এ চলে যান।
এর ভেতরে রিজভী ইউএনওকে কে তার উপর মহল থেকে ফোন দেয়াতে উনি জানালেন আচ্ছা ঠিক আছে, আপনারা থাকেন বোটের সাথে কিন্তু আপনাদের সাথে যে মেয়েটা আছে তাকে অন্য কোথাও রাখার ব্যবস্থা করেন। এতক্ষণে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হলো, সকল এলারজি “মেয়ে মানুষে”। ঠিক করলাম এর পর কোথাও গেলে পথে যতো ইউএনও পড়বে সবাইকে আগে থেকে জানিয়ে যাবো উনাদের উপরমহল থেকে।
পরদিন দুপুরে আমরা কুকড়ি পৌঁছালাম। এখানে পাঁচদিন থেকে, নদীর ফ্রেশ ইলিশ, গলদা চিংড়ি, চাক ভাঙ্গা মধু খেয়ে আমরা মনে হচ্ছিলো আর না ফিরলেও হয় ঢাকা। ফেরার দিন কোন দিক দিয়ে ফিরবো চিন্তা শুরু করলাম আমরা। মেঘনা আর না। ঠিক হলো তেতুলিয়া নদী দিয়ে ফিরবো, এর পর মেঘনাতে না যেয়ে আমরা চরমোনাই হয়ে আড়িয়াল খাঁ ধরে বরিশালের মুলাদি হয়ে পদ্মা তে চলে আসবো। পদ্মা থেকে ইছামতী – ধলেশ্বরী হয়ে আবার বুড়িগঙ্গা।
ওইদিন সন্ধায় মুলাদির উলটা পাশে মিয়াঁর চর এ থামলাম রাত কাটানোর জন্য, নেমেই প্রথমে চেয়ারম্যানের খোজ করলাম। খবর পেয়ে মেম্বার সাহেব চলে আসলেন – রতন সাহেব। খুবই ভালো ব্যাবহার। আমাদের বললেন এখানে থাকার প্রয়োজন নাই, তার লোক থাকবে এখানে কেউ নৌকা তে হাত দিবে না। আমরা যেনো তার মেহমান হই। অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে আমরা ক্ষমা নিলাম, কিন্তু উনার রিকোয়েস্ট তাহলে রাকা যেনো তার বাসায় একটু যায়, তার বাসার মানুষেরা অনেক খুশি হবে। কি আর করা রাকা আর আমি উনার সাথে হাটা দিলাম রিজভি কে নৌকার পাহারায় রেখে (এই সময় অনেকে রিজভি কে জিজ্ঞাসা করেছে নৌকা চালানোর জন্য ও কত বেতন পায়!)।
রতন ভাইয়ের বাসায় হাত মুখ ধুয়ে বসতে খাওয়া চলে আসলো, আমরা বললাম যে আমাদের বন্ধুকে রেখে আমরা তো খেতে পারবো না, ভাবী বললেন উনার জন্য বাটিতে দিয়ে দিবেন- আজকে আর আমাদের রান্না করার দরকার নাই। কয়েকটা চালের আটার রুটি আর মুরগি ভুনা শেষ করার পর দেখি ভাত আসলো, রুটিটা স্টাটার ছিলো – এদিকে আমাদের পেটে ভাত দেয়ার মত জায়গা আর নাই। আমরা রাতে কম খাই বুঝায়ে নিস্তার শেষ পর্যন্ত। পরদিন সারাদিন মোবাইলে চার্জ ছিলো না। পথে একটু অন করে রতন ভাইকে ফোন দিলাম – উনি বললেন বেশ কয়েকবার আমাদের ফোন দিয়েছেন কিন্তু পাচ্ছিলেন না আর চিন্তা করছিলেন। আমরা ভালো আছি জানালাম।
এক সপ্তাহ আগের যে খারাপ ব্যবহার পেয়েছিলাম সেটা মন থেকে ধুয়ে মুছে দিলেন গ্রামের এক মেম্বার সাহেব, মনে হলো আমার সোনার বাংলা এখনো সোনার বাংলা আছে। অবশ্য ইউএনও কে দোষ দেয়া যায় না, চারিদিকে চোর-ছ্যাচড় ধান্দাবাজি দেখতে দেখতে উনাদের পক্ষে কাউকে বিশ্বাস করা কঠিন। আর আন্তর্জাতিক সংস্থায় ভালো চাকুরি করা কেউ লঞ্চ গাড়িতে না যেয়ে নিজের প্রশান্তির জন্য টাকা খরচ করে নৌকা চালায়ে নদীর পাড়ে রাত কাটাবে এই ধারণা মনের ভেতর বিকশিত করাও সবার পক্ষে সম্ভব না – সময় লাগবে আরো।
মেঘনা কে ভয় করে ফেরার সময় পদ্মা বেছে নিলাম, পদ্মাও কম যায় না। এপার ওপার দেখা যায় না। কয়েকবার পার হওয়ার চেস্টা করে আবার তীরের কাছে ফিরে ঠিক করলাম পদ্মা ব্রিজের নীচ দিয়ে পার হবো, সেখানে নদী সবথেকে কম চওড়া, আর আশে পাশে নৌকা টোউকা দেখলে একটু সাহস লাগে মনে। ব্রিজের নীচ দিয়ে ভালই ভালই পার হয়ে আমরা থামলাম পদ্মা রিসোর্টে, বিকাল হয়ে গেছে কিছু যদি খাওয়া যায় আর রাতটা এখানে কাটিয়ে দিবো ভেবে। রুমের ভাড়া ২৫০০ টাকা। ভেতরে শুনি খাওয়া নাই – রাতে অর্ডার দিলে পাওয়া যাবে। নৌকা বেঁধে রেখে ঠিক করলাম আপাতত ঠান্ডা পানি আর কোক খাই। পানি আর কোক দিতে বলাতে রিসেপশনের ছেলেটা যানালো দোকান থেকে কিছু কিনতে এন্ট্রি ফি লাগবে ৫০ টাকা করে জন প্রতি। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো – যেহেতু ২৫০০ টাকা রিসোর্ট ভাড়া তার উপর আবার এন্ট্রি ফি! বোট নিয়ে উলটা পাশে থানার ঘাটে ভিড়ায়ে পানি, চিপ্স আর পেয়ারা কিনে ঠিক করলাম ঢাকা যাইগা থাকলাম না এই রিসোর্টে। শান্ত ইছামতী দিয়ে সন্ধার আগে আগে পোঁছালাম ঢাকা।
** আমাদের যাত্রার সব অপচনশীল ময়লা আমরা সাথে একটা বড় পলিতে ক্যারি করে ঢাকাতে আমার বাসা পর্যন্ত এনে ডাস্টবিনে ফেলেছি। ভ্রমণের সময় দয়া করে নদীতে আবর্জনা ফেলবেন না।
/এন এইচ