করোনাগার্মেন্টসদেশজুড়ে
বাজার টিকিয়ে রাখতেই গার্মেন্টস খোলার অনুমতি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা সংকটে তৈরি পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার টিকিয়ে রাখার জন্যই ঢাকার আশপাশের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো সীমিত আকারে চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেননা দীর্ঘদিন এসব ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় এর আন্তর্জাতিক বাজার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। গতকাল সকালে নিজের বাসা থেকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ২ হাজার ২০০ অসহায়-গরিব মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আগে এই ভিডিও কনফারেন্স হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, দুই ধরনের ডাল, আলু, ছোলা, লবণ, চিনি, পিয়াজ, আটা ও হাত ধোয়ার সাবান।
এ সময় দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহ, দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চালু করা ফ্যাক্টরিগুলোতে ঢাকায় অবস্থানকারী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। মালিকরাও তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু চাকরি হারানোর ভয়ে অসংখ্য শ্রমিক ঢাকায় প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে মালিকদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ উপ-কমিটির কাজের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা আজকে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেবেন- এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটাকে স্বাগত জানাই। এটা প্রশংসনীয় কাজ। আমাদের প্রিয় নেত্রী, আমাদের পার্টির সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঙ্গে কিছুক্ষণ আগে কথা বলেছি। আমাদের নেত্রী আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আপনাদের এই কর্মকান্ডের প্রশংসা করেছেন। ত্রাণ বিতরণের উপ-কমিটির এই উদ্যোগকে প্রশংসা করে এই কাজটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এদেশের অনেক মানুষ আছে, যাদের কোনো ঘর নেই, যারা রেলস্টেশন, টার্মিনাল, ফ্লাইওভারের নিচে, খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন অসংখ্য শিশুসহ অনেক মানুষ। তাই আজকে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অঙ্গীকার গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার। এখানে তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমাদের উপ-কমিটি তথা আমাদের নেতারা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বলছি ঘরে থাকতে হবে, আমি নিজেও ঘরে আছি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। কিন্তু যাদের ঘর নেই তারা থাকবে কোথায়? এদের ব্যাপারেও আমাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী যাতে কেউ গৃহহীন না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাহস ও ধৈর্যের সঙ্গে করোনা সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
/আরএম