তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশ থেকে আবারও ইন্টারনেট নিতে চায় ভারত

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বাংলাদেশ থেকে আবারও ইন্টারনেট নিতে চায় ভারত। এবার তাদের চাহিদা আগের তিনগুণ। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিএসএনএল। কর্তৃপক্ষ বলছে, ইন্টারনেট পেতে হলে ভারতকে বকেয়া ১০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে রপ্তানির তুলনায় বহুগুন আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে। যদিও ইন্টারনেট আমদানিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখছেন বিশ্লেষকেরা।

উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ১০ জিবিপিএস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। এর আওতায় চার বছর ইন্টারনেট রপ্তানি করে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ফেব্রুয়ারি থেকে ইন্টারনেট নেয়া বন্ধ করে ভারতের প্রতিষ্ঠান বিএসএনএল। বকেয়া হয় প্রায় ১২ লাখ ডলার।

গত জুলাইয়ে ইমেইল বার্তায় আবারও বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে বিএসএনএল। এবার চাহিদা ৩০ জিবিপিএস। তবে এবার রপ্তানিমূল্য আরও কমছে। সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান জানিয়েছেন, দু’দেশের দাম সমন্বয় করে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

তবে সারাদেশের প্রেক্ষাপটে রপ্তানির তুলনায় বহুগুন ইন্টারনেট আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে। সরকারি হিসাবে, মোট চাহিদার প্রায় ৩৮ শতাংশই আমদানি হচ্ছে। যদিও ভারত থেকে ইন্টারনেট আমদানির যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, আগে দেশে একটি সাবমেরিন ক্যাবল থাকায় আমদানি যৌক্তিক ছিল। কিন্তু দেশে এখন দুটি সাবমেরিন ক্যাবল রয়েছে। যা দিয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

তবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলছেন, নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে এখনি আমদানির পথ থেকে সরে আসবে না সরকার। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ হলে আমদানি বন্ধ করা হবে।

বর্তমানে দুটি সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে ১২শ ৩৫ জিবিপিএস ইন্টারনেট সরবরাহ করছে সরকার।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close