ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরো বেশি গতিশীল হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
বুধবার জাপানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী তারো আসোর সঙ্গে তার দফতরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় তারো আসো দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান অটুট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে সর্বদা সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি নবনিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতকে জাপানে স্বাগত জানান।
জাপান মিশন থেকে এক সংবাদ বার্তায় জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত আহমদ উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং জাপানে দায়িত্ব পালনের সময় তার সহযোগিতা কামনা করেন।
শাহাবউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের বন্ধুসুলভ সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, এই সহযোগিতা উত্তরোত্তর আরো বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাপানি সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, করোনা মহামারি প্রতিরোধসহ দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এই দুইজন আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যার কথা তুলে ধরে এ সময় তারো আসো ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ সমস্যা সমাধানে জাপান সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে বলেও বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জানিয়ে জাপান এবং মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সম্মানজনকভাবে ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমারকে রাজী করাতে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ বিদ্যমান। এছাড়া সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশ এরইমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সব যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশের এ লক্ষ্য পূরণে তিনি জাপানের সর্বাত্মক সহায়তা কামনা করেন।
উপপ্রধানমন্ত্রী তারো আসো এ সময় জাপানের দীর্ঘতম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে শিনজো আবের সফলতার কথা তুলে ধরেন। তারো মনে করেন, উন্নয়ন ধরে রাখার জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য তিনি শেখ হাসিনার নীতি ও কৌশলের প্রশংসা করেন।
/এন এইচ