খেলাধুলা
বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্টেডিয়াম
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ঠিক যেন বিশালাকার একটা নৌকা। যেন হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে এখনই রওনা দেবে। তার পেটের মধ্যে রয়েছে আস্ত একটা সবুজ ক্রিকেট মাঠ। নৌকায় চড়ে সেই মাঠে হবে দুই দেশের ব্যাট-যুদ্ধ। তবে এ নৌকা জলে ভাসবে না। শহরের মাঝে এক জায়গাতেই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে।
আসলে এটা একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এর নাম শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রিকেটের বড় ভক্ত। তাঁকে সম্মান জানাতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই স্টেডিয়ামের নাম রেখেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নামে।
সম্পূর্ণ নৌকার আকৃতিতেই গড়ে তোলা হচ্ছে স্টেডিয়ামটি। এমন সুন্দর এবং আধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এতদিন বাংলাদেশে ছিল না।
নৌকার আকৃতির হওয়ার একে বোট স্টে়ডিয়ামও বলা হয়। বাংলাদেশের স্মার্ট সিটি পূর্বাঞ্চলে সেক্টর ১-এ ৩৮ একর জমির উপর গড়ে তোলা হচ্ছে এই স্টেডিয়াম।
২০১৮ সাল থেকে এর কাজ শুরু হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২২-এ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা এই স্টেডিয়ামের। এতে খেলা দেখার জন্য তিন তলা গ্যালারি এবং একটা মিডিয়া সেন্টারও থাকবে। খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য থাকছে আলাদা ব্যবস্থা।
স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে আনুমানিক খরচ হবে ১৪০ মিলিয়ন ডলার । এটাই আগামী দিনে এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্রিকেট স্টেডিয়াম হতে চলেছে।
এই স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা হবে ৫০ হাজারেরও বেশি। ধাপে ধাপে তা বাড়িয়ে এক লাখ পর্যন্ত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়াও এই স্টেডিয়াম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদর দফতর হবে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ঢাকা ডায়নামাইটের ঘরের মাঠ হবে। এতদিন এই দলের ঘরের মাঠ ছিল শের-ই-বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। যার দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩৬ হাজার। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টে়ডিয়াম। এই স্টে়ডিয়ামে এক লাখেরও বেশি দর্শক খেলা দেখতে পারেন। আর মাঠের আকার দৈর্ঘ্যে ১৭১ মিটার এবং প্রস্থে ১৪৬ মিটার।
মেলবোর্নের পরেই স্থান কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামের। এর ধারণ ক্ষমতা ৬৮ হাজার। ইডেন গার্ডেন্স বিশ্বের দ্বিতীয় এবং এখনও পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
গুজরাতের মোতেরায় তৈরি হওয়ার জন্য একে মোতেরা স্টেডিয়ামও বলা হয়ে থাকে। এই স্টেডিয়াম ১৯৮২ সাল থেকেই রয়েছে। আগে ৫৪ হাজার লোক ধরত এই স্টেডিয়ামে। ২০১৭ সাল থেকে এর সম্প্রসারণ এবং আধুনিকরণের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যেই তা শেষ হওযার কথা।