আমদানি-রপ্তানীদেশজুড়েপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বড় প্রভাব বোঝা যাবে ১-২ সপ্তাহ পর
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের বড় ধরনের কোনও প্রভাব এখনও বাংলাদেশে পড়েনি। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে এর প্রভাব সম্পর্কে চূড়ান্তভাবে জানতে আরো এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এমনটা মনে করেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, চীনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে কর্মরত চীনা কর্মীরা ছুটি শেষে দ্রুত ফিরতে না পারলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে সার্বিক প্রভাব কতটুকু সেটা জানাতে বুধবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-বিসিসিসিআই এবং ঢাকার চীনা দূতাবাস।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে বিসিসিসিআই প্রধান গাজী গোলাম মুর্তজা শুরুতেই জানান, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যের প্রভাব বুঝতে হলে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীন অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি পোশাক খাতের কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে এ মুহূর্তে বড় কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। কারণ ভাইরাসের সংক্রমণের সময়ে চীনে নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি চলছিল। প্রতিবছরই এই ছুটির অনেক আগেই বাংলাদেশের শিল্পোদ্যোক্তারা চীন থেকে তাদের শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি করে থাকেন। এবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ফলে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে এখন পর্যন্ত কোনো পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেওয়ার কারণ নেই। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, সেটা ভবিষ্যতই বলে দেবে।
ঢাকার চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংও তাই মনে করেন। তবে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে কর্মরত চীনাদের ফেরা নিয়ে তিনি কিছুটা চিন্তিত।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে কর্মরত চীনাদের মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম ছুটিতে। তবে তারা সবাই বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের, এটা চিন্তার বিষয়। তাদের ফেরার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার যে সতর্ক এবং কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তা যৌক্তিক। এটি দীর্ঘায়িত হলে মেগা প্রকল্পগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের কিছু শিক্ষার্থীর দেখভালে যেসব ত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে, সেটি সত্য নয় বলেও জানান লি জিমিং। তাদের সেবাযত্নে কোনও ঘাটতি হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।
/আরএম