ব্যাংক-বীমাশিল্প-বানিজ্য
বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধ করতে পারবে শ্রীলঙ্কা?
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ঋণ পরিশোধের মেয়াদ এরই মধ্যে দুবার পেরিয়ে গেছে। তৃতীয় দফার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে আবারও শ্রীলঙ্কাকে সময় দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে মেয়াদ বাড়িয়েও ঋণের টাকা ফেরত না পাওয়ার শঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। দুর্বল অর্থনীতির দেশ হিসেবে ঋণসহায়তা দেওয়া ঠিক হয়নি বলছেন তারা। যদিও দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পর তা ফেরত পাওয়া নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি কম হয়নি। পাঁচ বছর পার হলেও অর্থ ফেরতের কোনো কূলকিনারা পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
এরই মধ্যে নতুন করে আলোচনায় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে দেওয়া ঋণের বিষয়টি। কিন্তু অর্থনীতির ভিত শক্ত করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। রফতানি আয় কমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ-স্বল্পতায় দেশটি এখন প্রায় দেউলিয়া। ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগও করেছে লঙ্কান সরকার।
এমন অবস্থায় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য না থাকায় বাংলাদেশের দেয়া ঋণ সময়মতো পরিশোধ করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ পরিশোধের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে আরও এক বছর সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। এরপরেও যথাসময়ে তা পরিশোধ নিয়ে শঙ্কায় অর্থনীতিবিদরা।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমার মনে হয় না এক বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ঋণ ফেরত দিতে পারবে। টাকাটা শ্রীলঙ্কা ফেরত দেবে, তবে এর জন্য কম করে হলেও ১০-১৫ বছর সময় লাগবে।’
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ঋণের অর্থ আদায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে হয় না শ্রীলঙ্কা থেকে অর্থ আদায়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। হয়তো তাদের আরও সময় লাগতে পারে। তবে টাকা ফেরত পাচ্ছি আমরা।’
শ্রীলঙ্কাকে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে দুই দফায় ১৫০ মিলিয়ন এবং সেপ্টেম্বরে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় বাংলাদেশ। এসব ঋণ ২১ মার্চ পর্যন্ত দুই দফায় পুনঃতফসিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী জুন মাসে তৃতীয় দফায় ঋণ পরিশোধের মেয়াদ পূর্ণ হবে। (সূত্র: সময়টিভি)