শিল্প-বানিজ্য
বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে চায় থাইল্যান্ড
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: থাইল্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি, ই-গভর্নেন্স এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা ও নলেজ শেয়ারিং বিষয়ে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সোমবার (২৩ মে) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ মন্ত্রী মি. চাইউত থানাকামানুসর্ন তার দফতরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা জানানো হয়।
এসময় তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ডিজিটাল স্বাস্থ্য, ডিজিটাল শিক্ষা, ডিজিটাল সরকার, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট, গবেষণা এবং উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠককালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মি. চাইউত থানাকামানুসর্নের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা তুলে ধরে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশের জিআরপি, ই-নথি ইত্যাদির অভিজ্ঞতা এবং ডিজাইন শেয়ারের বিষয়টি তাদের কাছে বর্ননা করেন। সেই সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ইন্টারনেট ব্যবহার, আইটি শিল্পের প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে থাইল্যান্ডের মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন।
থাইল্যান্ডের দুই মন্ত্রী জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ইন্টারনেটের অনুপ্রবেশ, আইটি শিল্পের প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল গভর্নেন্সে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা শুনে অভিভূত হন।
বৈঠকে জানানো হয়, থাইল্যান্ডের ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি মন্ত্রণালয়ের (এমডিইএস) গঠন প্রকৃতি বাংলাদেশের আইসিটি ডিভিশনের মতোই, যা উভয় দেশের জন্য আশাব্যঞ্জক।
এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ ডেটা সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যে আইন থাইল্যান্ড ইতিমধ্যেই চালু করেছে। যেটি ডেটা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
জুনাইদ পলক জানান, আইসিটিতে আঞ্চলিক শক্তি গড়ে তুলতে আমরা সমস্ত বিমসটেক দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি, বিমসটেক দেশগুলোকে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া এবং যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন এবং বিশেষ করে ডেটা নীতি তৈরি করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ উপমন্ত্রী নিউইন চোচাইয়াথিপ, মন্ত্রীর উপদেষ্টা টিটাভুন্নো, এইচ. ই. ব্যাংককে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল হাই, কাউন্সিলর মো. মাসুমুর রহমান, কাউন্সিলর ও হেড অব চেন্সারি দয়াময়ী চক্রবর্তী, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী রাজধানী ব্যাংককে এশিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) ক্যাম্পাসে এআইটি এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে উদ্ভাবনের ভবিষ্যত এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার সুযোগ’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধু চেয়ার সংলাপে বক্তব্য রাখেন।
এ অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিলোসফি অব রিবুলেশন।
প্রতিমন্ত্রী বিগত ১৩ বছরের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের গল্প তুলে ধরেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এআইটি এর প্রেসিডেন্ট, রিচার্জ চার্ট প্রফেসরস ও শিক্ষার্থীরা।
/এএস