দেশজুড়েপ্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিএসএফ সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: জিজ্ঞাসাবাদের নামে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ সদস্য রমেশ্বর কয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে দুইদিনের পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে দেশটির আদালত।
অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার সময় ভারতের বনগাও খড়ের মাঠ এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিএসএফ এর হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশের এক নারী। এরপরই তাকে নিয়ে আসা হয় বিএসএফ এর খড়ের মাঠ এলাকার ক্যাম্পে। সেখানেই তাকে ধর্ষন করা হয়।
ভূক্তভোগী নারি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। ভারতীয় এক দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হওয়ার সময় বৃহস্পতিবার বান্ধবীসহ আটক হন তিনি। পরে তিনি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বনগাঁওয়ের খড়ের মাঠ এলাকার ক্যাম্পে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতা জানান, প্রথমে তাদেরকে একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কোন নারী বিএসএফ সদস্য বা অন্য কেউ ছিলেন না। শারীরির নির্যাতনকারী বিএসএফ সদস্য সেখানেই থাকেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগের পরপরই বিএসএফ-র এসআই রমেশ্বর কয়ালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে বিএসএফ এর ১৫৮ ব্যাটালিয়নে যুক্ত ছিলেন এবং গাইঘাটা থানা এলাকার দায়িত্ব পালন করতেন। বনগাও মহকুমা আদালত রমেশ্বর কয়ালকে ২দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন।
ভারতের বনগাওয়ের মূখ্য সরকারী আইনজীবী অমিত দাস বলেন, ‘দুই দিনের জন্য তার পুলিশ রিমান্ড মুঞ্জুর হয়েছে। আপাতত সে পুলিশ কাস্টোডিতে থাকবে। যারা প্রশাসনের কাজ করেন তারা যদি এরকম ঘটনা ঘটান তাহলে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এ বিষয়গুলো নিয়ে তো আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে।’
এদিকে নির্যাতিতা নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার আদালত চত্ত্বরে ভারতের সংবাদ মাধ্যকে সেই নারী জানান, দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হওয়ার সময় বিএসএফ তাকে আটক করে। দালালের মাধ্যমে আটক দুইজন ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে চেষ্টা করেন তারা। একজন ১৫ হাজার করে টাকা দেন দালালকে। তিনি গুজরাটে শাড়ির শো-রুমে কাজ করতেন।