দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
বাঁচানো গেল না ফুলন রানীকে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার ঘটনার ১৩ দিন পর বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ফুলন রানী বর্মন (২২)।
নরসিংদীর বীরপুরে জমি সংক্রান্ত মামলায় প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে ফুপাতো ভাই ও তার দুই সহযোগীর দেয়া আগুনে দগ্ধ হয় রানী বর্মন। শরীরের ১২ ভাগ পোড়া নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বুধবার সকাল ৬টার দিকে মৃত্যু হয় তার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফ্ফার তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর স্বজন ও এলাকার মানুষদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্ত শেষে ফুলনের মরদেহ নরসিংদীতে নিয়ে যাওয়া হবে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী: গত ১৩ জুন রাতে জমি সংক্রান্ত মামলায় প্রতিবেশী প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই পরিকল্পিতভাবে ফুলন বর্মণের গায়ে আগুন দেয় ফুফাতো ভাই ভবতোষ বর্মণ ও তার দুই সহযোগী রাজু সূত্রধর ও আনন্দ বর্মণ।
শুক্রবার বিকেলে নরসিংদীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার পিংকীর আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত রাজু সূত্রধর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু সূত্রধর পুলিশকে জানায়: প্রতিবেশী সুখ লাল ও হিরা লাল এর পরিবারকে জমি সংক্রান্ত মামলায় ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবেই ফুলন বর্মণ এর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়।ভবতোষ-এর নেতৃত্বে সহযোগী রাজু সূত্রধর ও আনন্দ বর্মণ এতে অংশ নেয়।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ভবতোষ বর্মণ ও অপর সহযোগী আনন্দ বর্মণকেও গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর শনিবার ভবতোষ বর্মন ও গত মঙ্গলবার আনন্দ বর্মন নরসিংদীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। জবানবন্দীতে জমি সংক্রান্ত মামলায় প্রতিবেশী প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ফুলনের গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনার কথা স্বীকার করে তারা। বর্তমানে অভিযুক্ত তিনজনই আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছে।
১৩ জুন রাতে নরসিংদী শহরের বীরপুর মহল্লার যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মেয়ে ফুলন বর্মণ এর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার একদিন পর ফুলন বর্মণের বাবা যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।