বিশ্বজুড়ে
বন্যায় বিপর্যস্ত মালয়েশিয়া, ঘর ছাড়া ২৮ হাজার মানুষ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মালয়েশিয়াযর জোহর, পাহাং, নেগারি সেম্বিলান, মেলাকা এবং সাবাহ রাজ্যে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় শিশুসহ দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দেশটির জোহর প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
জোহরের রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি (এসডিএমসি) জানিয়েছে, জোহরের রাজ্যব্যাপী ১০টি জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। যেখানে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি পরিবারের ২৮ হাজারের বেশি মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যটির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা সেগামাত; যেখানে কাম্পুং কনতোহ, চাহ, ফেল্ডা পেমানিস এবং কাম্পুং তেনাংয়ের মতো অঞ্চলে ২ হাজার ৫০টি পরিবারের মধ্যে প্রায় ৭ হাজার ২৭২ জন তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
এর আগে বুধবার (০১ মার্চ) জোহর রাজ্যের ক্লুয়াংয়ের পালোহের জালান জিএসএ এলাকায় বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া একটি গাড়ির ভেতর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০ বছর বয়সী ওই যুবক বুধবার সকালে নিকটবর্তী একটি পাম অয়েল বাগানে প্রসেসিং ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
এছাড়াও দেশটির পাহাং রাজ্যের পেকান জেলার সুঙ্গাই পাসির এলাকায় ১০ বছর বয়সী এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাং রাজ্যের ফেল্ডা সেলাউয়ের প্রধান সড়কটি ধসে পড়ে। ওইসব এলাকার যানবাহন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। বন্যার কারণে নদীগুলোতে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
মালয়েশিয়ার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, জোহর রাজ্যের সেগামাত, মুয়ার, তাংকাক, বাতু পাহাত, ক্লুয়াং, কুলাই, কোটা টিংগি এবং মার্সিংয়ে বন্যার কারণে নদীগুলোতে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করায় রাজ্যটিকে বিপজ্জনক জোনে রাখা হয়েছে।
অতিবৃষ্টির কারণে মালয়েশিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতি বছরই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।