দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় এবং একাত্তরের স্বাধীনতা ও জাতির বিজয় অর্জনসহ বঙ্গবন্ধুর নানা ধরনের ইতিহাস গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে দিতে স্টেশনে স্টেশনে ঘুরছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে রেল মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আলাদা দুটি ট্রেন ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন স্টেশনে। গত বছরের ১ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ইতিহাসসমৃদ্ধ এ দুটি রেল জাদুঘর। বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা বই কিংবা তাকে নিয়ে লেখা ইসিহাসের বই! সবই শোভা পাচ্ছে এই জাদুঘরে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর পরিহিত কোর্ট, চশমা থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক অনেক প্রতিরূপ আছে চলমান এ রেল জাদুঘরে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর এসেছে বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে। আগামী বুধবার (১ মার্চ) ট্রেনটি জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে যাবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
ভ্রাম্যমাণ এ রেল জাদুঘর দেখতে আসা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাব্বাসুম আক্তার বলেন, ‘জাতির জনক সম্পর্কে বইয়ে অনেক কিছু পড়েছি। আবার তার সম্পর্কে নতুন করে জানলাম। এ রেল জাদুঘর দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে।’
প্রিয়সি আক্তার নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা সম্পর্কে অজানা অনেক কিছু ছিল। তা আজ জানতে পারলাম। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে জানলাম।’
জাদুঘরের পাশাপাশি ট্রেনের পুরো একটি বগিতে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে মৃত্যু, শেশব-কৈশোর এবং সংগ্রামী জীবনসহ স্মৃতিচারণের নানা রকম দৃশ্য দেখানো হচ্ছে।
মোস্তাফিজ নামে কলেজপড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘টিভির মতো বড় স্ক্রিনে বঙ্গবন্ধুর জীবনী দেখানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত অনেক প্রামাণ্যচিত্র দেখার সুযোগ আছে। এই উদ্যোগকে স্বাগতম জানাচ্ছি।’
আধুনিক এই ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরে ইতিহাস জানার সুযোগ পাওয়ায় খুশি শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সের দর্শনার্থীরা।
মতিউর রহমান নামে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ বলেন, ‘সরকার দারুণ একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশ স্বাধীনতার ইতিহাস এবং এর সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে জানতে পারবে।’
জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানায়, সাত দিন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে অবস্থান করবে এই রেল জাদুঘর। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ঘুরে বেড়াবে আলাদা দুটি ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর। জানাবে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ইতিহাস। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দফায় এই জাদুঘর ঘুরে দেখার সুযোগ পাবে দর্শনার্থীরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের সুপার অ্যাটেনডেন্ট শেখ ফরিদ বলেন, ‘আমাদের এই জাদুঘরে প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী আসে। বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী বেশি আসে এ জাদুঘরে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে সাত দিন করে অবস্থান করছি।’