প্রধান শিরোনামশিক্ষা-সাহিত্য

বই উৎসবে শিশুদের উচ্ছ্বাস

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আজ বই উৎসব। নতুন বই পাওয়ার অপেক্ষায় সারাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বই বিতরণ উৎসব-২০২৩ এর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে। বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে বই উৎসবে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জড়ো হয়েছে শিক্ষার্থীরা।

এবারের বই উৎসবে উপস্থিত রয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ প্রমুখ।

এদিকে, এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের ৮০ শতাংশ ও প্রাথমিকের ৬৫ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। যদিও মুদ্রণ শিল্প সমিতির দাবি, ঘাটতির পরিমাণ এনসিটিবির হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। কাগজ সংকটে প্রাথমিকের বই ছাপানো দেরিতে শুরু হওয়ায় সংকট বেশি ঘনীভূত হয়েছে। নিম্নমানের বইয়ের পাশাপাশি এবার প্রচুরসংখ্যক শিক্ষার্থীর নতুন বই নির্ধারিত সময় না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার প্রায় নয় কোটি পাঠ্যবই ঘাটতি রেখেই পাঠ্যপুস্তক উৎসব করা হচ্ছে। ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছে আটকে আছে বই। সবচেয়ে বেশি আটকে আছে বারোতোপা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এ প্রতিষ্ঠানটি এবার এক কোটি ৯০ লাখ বইয়ের কাজ পায়। এর মধ্যে এক কোটি বই তারা দিতে পারেনি। এ প্রতিষ্ঠানের মূল প্রতিষ্ঠান দেশের একটি বিখ্যাত নোট-গাইড প্রকাশন সংস্থা। সরকারি ছাপার কাজ বন্ধ রেখে তারা নোট গাইড ছাপছিল। এ খবর পেয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর এনসিটিবিতে ছুটে যান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক। তিনি সংস্থাটির উদ্দেশে সতর্কতামূলক কথাবার্তা বলেন। এরপর অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারি বই ছাপার কাজ হাত দেয়। কিন্তু দুদিনের মাথায় শনিবার এ সচিবকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বদলি করে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আরও জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশ আছে। এছাড়া লেটার অ্যান্ড কালার বই দেয়নি। প্রমা ও ব্রাইট নামে প্রতিষ্ঠানটির কাছে আটকে আছে অর্ধ কোটির বেশি বই। অগ্রণী, আনন্দ, দশদিশা, জাহানারা, সরকার গ্রুপ এবং বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রেসের কাছেও কয়েক কোটি বই আটকে আছে। প্রিন্ট মাস্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছেও কিছু বই আটকে আছে। এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, সপ্তম সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও তাদের কাজ দেওয়া হয়েছে। খালি কাজ নেওয়ার ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানটি ৭০ লাখ টাকা লাভ করেছে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close