ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও “মজা করে” ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে ত্রাণ চাওয়ায় দুই ব্যক্তিকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে কুলসুম।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার ধোবারুহি গ্রামের বাসিন্দা মো. হারুন অর রশিদ (৫৫) ও মো. আবুল বাশার (৩৮)। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় ওই দুই ব্যক্তি সরকারি জরুরি সাহায্য সেবা ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে সাহায্য চান। তারা জানান, লকডাউনের কারণে কাজ না থাকায় তাদের ঘরে কোনও খাবার নেই।
পরে এই বার্তা নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মঈনুল ইসলামকে জানানো হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পূর্বধলার ইউএনও উম্মে কুলসুমকে ওই দুই ব্যক্তির বাড়িতে প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এমন নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাত ৮টায় ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পূর্বধলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন বেগম সেতু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমানকে নিয়ে ওই দুই ব্যক্তির বাড়িতে যান। সেখানে গেলে ওই দুই ব্যক্তি তাদের খাবারে প্রয়োজন নেই বলে জানান। “মজা করার” জন্য তারা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। আদালতে ওই দুই ব্যক্তি দোষ স্বীকার করেন। আদালত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আইন ২০১২ এর ৩৮ ধারায় হারুন অর রশিদকে ২৫ হাজার টাকা, অনাদায়ে ১৫ দিনের জেল এবং আবুল বাশারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে।
ইউএনও উম্মে কুলসুম বলেন, “সরকারি ত্রাণ নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য যাদের কর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ওই দুই ব্যক্তি উভয়েই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। তাদের ঘরে যথেষ্ট খাবার মজুদ রয়েছে। মজা করে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে তারা এই কাজ করেছিলেন। এমন সময়ে এ ধরনের ঘটনা একদমই অনাকাঙ্ক্ষিত।”
/আরএম