দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ফেসবুকে নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়ায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বগুড়ার ওয়াইএমসি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মায়িশা ফাহমিদা সেমন্তির (১৪) আত্মহত্যার ঘটনায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে ঢাকা সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সেমন্তির বাবা হাসানুল মাশরেক রুমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামি দু’জন হলো, বগুড়া জেলার সদর থানার জেল বাগান লেনের জলম্বরী তলার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির আহমেদ (২০) ও একই এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে শাহারিয়ার অন্তু ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেমন্তির নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে ওই ছাত্রী আত্মহত্যায় বাধ্য হয়েছে।
ছাত্রীর বাবা অভিযোগে জানান, গত ১৮ জুন রাতে আসামি আবির আহমেদ মোবাইল ফোনে হাসানুল মাশরেক রুমনকে জানায়, সেমন্তি আত্মহত্যা করতে পারেন। রুমন তাৎক্ষণিক মেয়েকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে সেমন্তি জানায়, আবিরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার জোরাজুরিতে সেমন্তি মোবাইলে কিছু নগ্ন ছবি তোলে। যা সেমন্তির মোবাইল থেকে আবির তার মোবাইলে নিয়ে নেয়। এর মধ্যে একটি ছবি শাহরিয়ার অন্তুর মোবাইল ফোনেও পাঠায় আবির। পরে দু’জন মিলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে সেমন্তিকে এবং পাশবিক লালসা চরিতার্থ করে। রুমন ঘটনাটি শুনে মেয়েকে সান্ত্বনা দিলেও ওইদিন রাতে সেমন্তি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
সে রাতে আবির ও অন্তু ৯১ বার মোবাইল ফোনে কথা বলে সেমন্তির সঙ্গে। যা প্রমাণ করে আসামিরা সেমন্তিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে আত্মহত্যায় বাধ্য করে। এছাড়া সেমন্তি মারা যাওয়ার পর আসামি আবির ২১ জুন রাতে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে মেসেঞ্জারে সেমন্তির নগ্ন ছবি পাঠিয়ে তার পরিবারকে মামলা না করার হুমকি দেয়।
মামলার বাদী রুমন জানান, প্রায় ১৫ মাস আগে তার ছোট মেয়ে অসুস্থ হয়। তখন প্রতিবেশী তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির রক্ত দেয়। সেই থেকে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এরপর সেমন্তি ও আবিরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আবিরের ফাঁদে পড়ে সেমন্তি।