দেশজুড়েবিশ্বজুড়ে

ফেসবুকে গুজব ছড়ানো নতুন ট্রাফিক আইনটি ভারতের

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ উপরোক্ত ছবিটি নকল, বাংলাদেশ এখনো মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুসরণ করছে, আর নতুন কোন সংশোধনীর ব্যাপারে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটি) এর পক্ষ থেকে কোন ধরণের নির্দেশনা আসে নি।

এছাড়া পরিবহন সেক্টরে নতুন একটি আইন প্রণয়ন ও জরিমানা বাড়ানোর যে খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রটানো হচ্ছে তা বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য চক্রান্ত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সম্প্রতি ফেসবুকে ‘নতুন মোটরযান আইন (সংশোধনী)’ নিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে পরিবহন সেক্টরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, মোটরযান আইন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা গুজব রটানো হচ্ছে যে এখানে বিভিন্ন বিষয়ে জরিমানা বাড়ানো হয়েছে।

ছবিটি মূলত ভারতের নতুন ট্রাফিক আইনের বাস্তবায়িত রুপ। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে বড় অংকের জরিমানার সঙ্গে কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন এই আইন চালু হয়েছে।

গত মাসে লোকসভায় মোটরযান (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৯ পাস হওয়ার পর রোববার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে এটি কার্যকর হয়েছে সারা দেশেই। এখন থেকে ট্রাফিক সিগন্যাল না মানা, গাড়িচালনার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, উল্টো পথে গাড়িচালনা, গতিসীমা না মানার মতো বিষয়গুলোতে বড় ধরনের জরিমানা গুনতে হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নতুন আইনে লাইসেন্স ছাড়া গাড়িচালনার ক্ষেত্রে জরিমানা পাঁচশ’ থকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার রুপি করা হয়েছে। টেস্টে পাস না করেও গাড়িচালনার ক্ষেত্রে জরিমানা পাঁচশ’ থকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার রুপি।

জরুরি সেবার গাড়িকে পথ না ছাড়লে জরিমানা দিতে হবে ১০ হাজার রুপি। ট্যাক্সি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ড্রাইভিং লাইসেন্সের নিয়ম না মানলে জরিমানা হতে পারে এক লাখ রুপি পর্যন্ত।

গতিসীমা না মানলে জরিমানা গুনতে হবে এক থেকে দুই হাজার রুপি পর্যন্ত। এর জন্য আগের নিয়মে জারিমানা চারশ’ রুপি থেকে বাড়িয়ে হালকা মোটরযানের জন্য এক হাজার ও মাঝারি মোটরযানের জন্য দুই হাজার করা হয়েছে।

আগে সিটবেল্ট না বেঁধে গাড়ি চালালে জরিমানা ছিল মাত্র একশ’ রুপি। এখন থেকে এর জন্য জরিমানা দিতে হবে এক হাজার রুপি। ইনস্যুরেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে জরিমানা দুই হাজার রুপি।

গাড়ি চালানোর সময় হেলমেট না পরলে এক হাজার রুপি জরিমানা, পাশাপাশি তিন মাসের জন্য লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে।

বয়সসীমার নিচে কেউ গাড়ি চালালে এর জন্য দোষী সাব্যস্ত হবেন তার অভিভাবক। আর এর জন্য তার ২৫ হাজার রুপি জরিমানা, তিন বছরের জেল ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে।

গাড়িতে ওভারলোডের জন্য জরিমানা গুনতে হবে ২০ হাজার রুপি পর্যন্ত।

গত মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক যোগাযোগ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতীন গাড়কারি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স করার প্রক্রিয়া কম্পিউটারাইজড করা হবে। এখন থেকে সবাইকেই, এমনকি সংসদ সদস্যদেরও কেবলমাত্র অনলাইন পরীক্ষায় পাস করার পরই লাইসেন্স দেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close