বিশ্বজুড়ে
ফের হামলার ঘোষণা ইসরায়েলের
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সমঝোতার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় গাজায় অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিব। ফলে সংঘাতের শঙ্কা থাকছেই। চার দিনব্যাপি হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে ইসরায়েল।
ইসরায়েল-হামাস সমঝোতা এবং বন্দি মুক্তিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস বইছে আন্তর্জাতিক মহলে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা স্বাগত জানিয়েছেন এই উদ্যোগকে। সমঝোতাকে শুধু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন’র গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার ফেরানোর পথ হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমি মনে করি এটা কেবল শুরু। বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে সংঘাত বন্ধের যে যাত্রা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। সমঝোতার কারণে ইসরায়েল-কাতার-যুক্তরাষ্ট্র-মিশরের নেতারা এক হয়েছেন। নানা ইস্যুতে কথা বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতায় এটাও খুবই জরুরি ছিল আমাদের জন্য। আমিও শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য নেতার সাথে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করছি।
তবে বিশ্বনেতারা যখন আশায় বুক বাধছেন তখন বিপরীত চিত্র তেল আবিবে। ইসরায়েলের স্পষ্ট ঘোষণা, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতী শেষ হলেই আবার শুরু করবে হামলা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, আমাদের সেনারা প্রস্তুত আছে। তাদের মহড়া এবং প্রশিক্ষণ অব্যাহত আছে। যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই আমরা আবারও অভিযান শুরু করবো। আমাদের লক্ষ্য হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা। যতক্ষণ হামাস আছে ততক্ষন আমাদের অভিযান চলবেই।
তবে হাল ছাড়তে রাজি নন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সামরিক পন্হায় যাওয়ার আগে রাজনৈতিক ইস্যুও গুরুত্ব পাবে তেল আবিবের কাছে।
সাবেক মার্কিন কূটনৈতিক জেফরি স্টেসি বলেন, ইসরায়েলের অবস্থান এই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি না করা। তবে এই পরিস্থিতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। কারণ ইসরায়েলের ওপর কাতারসহ অন্যান্য দেশের চাপ রয়েছে, এর পাশাপাশি নিজ দেশেই চাপের মুখে আছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। সামরিকভাবে তেল আবিব হামাস বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে চাইবে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি শেষে ইসরায়েলের আবারও হামলার হুমকিতে শঙ্কায় গাজার সাধারণ মানুষও।
/এএস