ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, সবধরনের ভয়ভীতি উপেক্ষা করে উৎসবের আমেজে ভোলায় ফিরছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ। হাজার হাজার মানুষ আজ বুধবার সকালে ভোলা-ঢাকা-চট্টগ্রামের রুটের ইলিশা ফেরি ঘাট দিয়ে অবাধে প্রবেশ করে।
সকালে কনকচাপা ফেরিতে করে সাত হাজারের বেশি মানুষ একসাথে ভোলায় প্রবেশ করে। ফলে সকাল ৮টার সময় ইলিশা ফেরি ঘাট সড়কে লোকে লোকারন্য হয়ে যায়। এখনো দশ হাজারের অধিক লোক লক্ষীপুরের মজু চৌধুরির ঘাটে ভোলায় আসার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।
সারাদিনই ট্রলার ও বিভিন্ন যানে করে ভোলায় ফিরছেন সাধারন মানুষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোলার সাথে অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার সকল ধরনের যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ভোলা জেলা প্রশাসক ও বিআইডব্লিইটিএ। তারপরও ভোলায় মানুষ আসা বন্ধ হয়নি। কেউ পায়ে হেঁটে ,কেউ বা আটোরিকশা, ট্রাকে করে স্বজনদের কাছে চলে যাচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায়, ভোলায় এক হাজার চারশত আটান্ন জন বিদেশ ফেরত লোক রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৭৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিকি জানান, বিদেশ ফেরতদেরকে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ২৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করে চলেছেন।
মঙ্গলবার ভোলাতে একজনকে করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার নমুনা আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভোলা সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী।
এদিকে আজ থেকে ফার্মেসি ও কাঁচাবাজার ছাড়া সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ভোলায়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে উপকূলীয় ভোলা জেলার জন্য ৯ প্লাটুন কোস্টগার্ড চাওয়া হয়েছে । তারা এখন ভোলার পথে রয়েছেন।
/আরএম