প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
ঢাকা অর্তনীতি ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা পরিচালনা করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গাজা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে বেলুনে করে আগুনের গোলা ও রকেট হামলার জবাবে রোববার এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে তেলআবিব।
বিমান হামলার আগে গাজা-ইসরায়েলি সীমান্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, সীমান্তে ফিলিস্তিনি কয়েক ডজন দাঙ্গাবাজ টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বেড়া লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক ডিভাইস নিক্ষেপ করে।
গত এক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে রাতে বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। গাজা উপত্যকার ক্ষমতায় রয়েছে ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, গাজায় হামাসের একটি সামরিক ভবন ও ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। এর আগে ইসরায়েল জানায়, গাজা উপত্যকা থেকে অন্তত দু’টি রকেট ইসরায়েলে ছোড়া হয়েছে। তবে দেশটির আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধেয়ে আসা রকেট প্রতিরোধ করেছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রকেট হামলার জবাবে আমাদের বিমান বাহিনী গাজায় হামাসের সন্ত্রাসী ঘাঁটি এবং একটি সামরিক ভবনে হামলা চালিয়েছে। ভবনটি হামাস রকেট মজুদের কাজে ব্যবহৃত হয়।
ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভে নতুন করে উত্তেজনা যুক্ত করেছে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শান্তি চুক্তি। গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই দেশ পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়।
ফিলিস্তিনিরা উপসাগরীয় অঞ্চলের দুই দেশের এই চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েল-আমিরাতের চুক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। এই চুক্তির কারণে উপসাগরীয় অঞ্চলে যেকোনও ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হলে তার দায় ইসরায়েল ও আমিরাতকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
/এন এইচ