করোনাদেশজুড়েপ্রধান শিরোনামস্বাস্থ্য
ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কোভিডশিল্ড, স্পুটনিক ভি, সিনোফার্মের পরে দেশে চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেল ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর আগে গত ২৪ মে ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়।
এ টিকা ১২ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। টিকাটি দুই ডোজের। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। ফাইজারের টিকা মাইনাস ৯০ থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তবে ৫ দিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এবং ২ ঘণ্টা ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় টিকাটির গুণাগুণ ঠিক থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কোভ্যাক্স গ্রুপ থেকে ফাইজারের টিকা দেশে আসছে। কোভ্যাক্স থেকে প্রথম ধাপে বিনামূল্যে দেশের ১১ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা আসার কথা রয়েছে। পরে সরকার চাইলে ওই গ্রুপ থেকে কিনে আরও টিকা আনতে পারবে।
কোভ্যাক্স-এর থেকে প্রথম চালান হিসেবে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এবং এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক উপকরণ আগামী সপ্তাহে দেশে পৌঁছবে। তবে এ টিকা কীভাবে দেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এখন পর্যন্ত দেশে এসেছে অক্সফোর্ডের মোট এক কোটি তিন লাখ ডোজ, চীনের সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ এবং এরপরই ফাইজারের আসছে এক লাখ ৬২০ ডোজ। এ ছাড়া জুনের মধ্যেই চীনের আরো ছয় লাখ ডোজসহ একাধিক মাধ্যমে আরও কয়েক লাখ টিকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে অক্সফোর্ডের টিকাও থাকবে বলে ওই সূত্র জানায়।
অক্সফোর্ডের টিকা দেওয়া শুরু হয় ২৭ জানুয়ারি। আর গত মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে চীনের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
/আরএম