ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বাজারে এখন আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা প্রভৃতি রসালো ফলের সমারোহ। এসব ফলের লোভনীয় স্বাদ যে কাউকেই আকৃষ্ট করবে। আর এই সুযোগকেই পুঁজি করে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ফলের সাথে ফরমালিন মিশিয়ে অধিক মুনাফা করছে। তবে একটু সচেতন হলেই ফলে ফরমালিন চেনা যেতে পারে।
ফরমালিন যুক্ত ফল চেনার সহজ কয়েকটি উপায় নিচে দেয়া হলো:
ফরমালিন একটা ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত কেমিক্যাল। তাই ফরমালিনযুক্ত ফলের বোটার অংশটি নাকের কাছে ধরলে একটা ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যাবে। অপরদিকে ফরমালিনমুক্ত ফলে প্রাকৃতিক গন্ধ অর্থাৎ ওই ফলের স্বাভাবিক গন্ধ পাওয়া যাবে।
ফরমালিন যুক্ত ফলে মাছি, মৌমাছি বা অন্যকোন পতঙ্গ বসবে না।
স্বাভাবিকভাবে পাকা ফলের রং কিছুটা সবুজ বা কিছুটা হলুদ হয়ে থাকে। কিন্তু কেমিক্যাল মেশানো ফলের সব অংশই সমান পেকে যায় ।
ফল গাছ পাকা হলে ফলের শরীরে একরকম সাদাটে ভাব থাকে কিন্তু ফরমালিন বা অন্য কোন রাসায়নিক-এ চুবানো ফল ঝকঝকে সুন্দর, ফলের শরীর মুলায়েম ও দাগহীন হবে।
গাছ পাকা ফলের ত্বকের গোড়ার দিকে গাঢ় রং হবে এবং শেষের দিকে হালকা রং হবে। কেমিক্যাল মেশানো ফলের আগা গোড়া হলদেটে হয়ে যায়। কখনো-কখনো বেশী দেওয়া হলে সাদাটে হয়ে যেতে পারে।
প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের স্বাদ সম্পূর্ণটাই মিষ্টি হবে। কিন্তু রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফলের কিছু অংশ মিষ্টি এবং কিছূ অংশ টক হবে।
স্বাভাবিক ফল পেকে যাওয়ার পর ফ্রিজে না রাখলে পচে যাওয়া শুরু করবে। কিন্তু ফরমালিন যুক্ত ফল ফ্রিজে না রাখলেও পচবে না।
ফল কেনার পর যে খানে আলো বাতাস নেই সেখানে কিছুক্ষন রেখে দিন, গাছ পাকা হলে চারপাশে গন্ধ ছড়াবে, ফরমালিন বা বিষাক্ত কেমিক্যাল দেয়া থাকলে গন্ধ ছড়াবে না।
( লেখক: প্রাণ রসায়নবিদ ড. ফুয়াদ হোসেন)