ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ এবার প্লেনের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন ট্রেন বাস্তবে রূপ দিতে চলেছে চীন। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন (চলমান) তাদেরই দখলে। নিজেদের সেই রেকর্ড ভেঙে অবিশ্বাস্য গতির ভাসমান বুলেট ট্রেন আনতে চলেছে চীন। যার সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৬শ কিলোমিটার। আর এই বাস্তবতা থেকে সামান্য দূরে দেশটি।
প্রোটোটাইপ বডির এ ম্যাগনেটিক ট্রেনকে ম্যাগলেভ বলা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি চীন রেলওয়ে রোলিং স্টক এটি তৈরি করছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রানজিট উপকরণ প্রস্তুতকারী এ প্রতিষ্ঠানটি ট্রেনটি চলতি বছরের দ্বিতীয় ভাগে চালু করতে পারে।
সফলভাবে এটি চালু করতে পারলে দ্রুতগতির রেল ও প্লেনের মধ্যে সময়ের যে দূরত্ব তা আরো কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বেইজিং থেকে সাংহাই যেতে প্লেনে সাড়ে ৪ ঘণ্টা, হাইস্পিড ট্রেনে সাড়ে ৫ ঘণ্টা লাগে। সেখানে নতুন ম্যাগলেভে লাগবে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা। চীনা রেলওয়ে রোলিং স্টকের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ডিং স্যানসান বলছিলেন এমনটি।
ম্যাগলেভ ট্রেনে ম্যাগনেটিং যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা ট্রেনকে মাটি থেকে উপরে রেখে এগিয়ে নেয়। প্রায় তিন বছরের গবেষণার পর গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো ট্রেনের বডি প্রস্তুত করা গেছে বলে জানিয়েছেন ডিং।
তবে চীনের এই ট্রেনটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কারণ ২০১৫ সালে জাপান একটি ম্যাগলেভ ট্রেন পরীক্ষামূলক চালায়। সেটির গতি ছিল ঘণ্টায় ৬০৩ কিলোমিটার।