দেশজুড়ে
প্রেমের ফাঁদে ফেলে পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভৈরবে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে রনি (২২) নামের এক যুবক। রনি ভৈরবের রানীর বাজার এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর (১৪) বাসা শহরের ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকায়। সে একই এলাকার একটি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের নিউটাউন এলাকার একটি কিন্ডারগার্টেনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৭ জুন) রাতে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা করেন। রাতেই মামলার আসামি আশিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রনির সঙ্গে স্কুলছাত্রীর সাত মাসের প্রেমের সম্পর্ক। স্কুলছাত্রীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হলেও ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকায় বসবাস করছে। তার মা একজন নির্মাণশ্রমিক। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া স্কুলছাত্রী বাসার কাছেই একটি প্রাইমারি স্কুলে লেখাপড়া করে। আট মাস আগে রনির সঙ্গে পরিচয় হয় স্কুলছাত্রীর। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেম হয়।
ঈদের পর দিন বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে প্রেমিকাকে বিয়ের কথা বলে নিউটাউন এলাকায় আসতে বলে প্রেমিক রনি। ফোন পেয়ে প্রেমিকা নিউটাউন এলাকার কাশফুল কিন্ডারগার্টেনের কাছে আসলে পাশের একটি রুমে নিয়ে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয় রনি। প্রস্তাবে রাজি না হলে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক। এ সময় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে সহযোগিতা করে রনির তিন বন্ধু।
তারা হলো- আশিক (২০), ইমন (২২) ও নুর মোহাম্মদ (২১)। তিনজনের বাড়ি শহরের পঞ্চবটি এলাকায়। ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীকে বলা হয় রাতে কাজি অফিস বন্ধ তাই পরদিন বিয়ে করবে। এ কথা বলে স্কুলছাত্রীকে বান্ধবীর বাসায় রেখে পালিয়ে যায় রনি।
এদিকে, মেয়েকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন মা। পরদিন সন্ধ্যায় বান্ধবীর বাসা থেকে মাকে খবর দিলে মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। এরপর মেয়ের কাছ থেকে মা সব ঘটনা শুনে শুক্রবার রাতে রনির বাসায় গিয়ে তার মাকে এসব ঘটনা জানান। এ সময় ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে তাদেরকে মারধর করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয় রনি। পরে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্কুলছাত্রীর মা।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা বলেন, রনি প্রেমের অভিনয় করে আমার মেয়েকে মোবাইলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। মেয়ের শরীরের জামাকাপড় এখনো রক্তাক্ত। আমি রনির কঠোর বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভৈরব থানা পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র নাথ বলেন, মামলা দায়েরের পর ধর্ষকের সহযোগী ও মামলার আসামি আশিককে গ্রেফতার করে কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আজই কিশোরগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবে স্কুলছাত্রী।