দেশজুড়ে
প্রেমিকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাদরাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আলমগীর হোসেন (৩৫) ও আঃ হামিদ ওরফে আলপিন (৪০) নামে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
২১ জুন উপজেলার দশআনি বকশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (২৪ জুন) ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ঘাটাইল থানায় মামলা করেছেন।
ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপড়া ইউনিয়নের দশআনি বকশিয়া গ্রামের মেয়েটি দশআনি বকশিয়া দাখিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২১ জুন রাত সাড়ে আটটার দিকে গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের শাওনের সাথে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর হোসেন আলীর বাড়ির পাশের রাস্তায় পৌঁছালে দশআনি একই গ্রামের সোহরাব তালুকদারের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) ও আমির আলীর ছেলে আঃ হামিদ ওরফে আলপিন (৪০) ছাত্রীকে শাওনের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়িতে উঠায়। তারা তাকে কৌশলে একই গ্রামের হোসেন আলীর বসত ভিটার ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। পরে তারা দুজনেই তার মুখ বেঁধে ভ্যান গাড়িতেই পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ছাত্রীর মা জানান, ধর্ষণের কারণে তার মেয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আলমগীর ও আলপিন তাকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। পরে গ্রামবাসী বিষয়টির মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় আজ ২৪ জুন সোমবার তিনি বাদি হয়ে ঘাটাইল থানায় গণধর্ষণের মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন (৩৫) ও আলপিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করেছে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত গ্রেপ্তারকৃত দুই ধর্ষককে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।