দেশজুড়ে
প্রেমিকার বাড়ির সেফটি ট্যাংকিতে প্রেমিকের লাশ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পরকীয়ার জেরে আল কাইয়ুম নিপুণ (৩৩) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিকার শ্বশুর-শাশুড়িসহ সন্দেহজনক ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (০৯ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার ভাগ্যের পাড়া গ্রামের মোকারমের বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে ওই যুবকের বস্তাবন্দি গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে, গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরে নিখোঁজ হয় আল কাইয়ুম নিপুণ। নিহত কাইয়ুম নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
বাবা প্রবাসে থাকায় সে তার মা, ভাই, স্ত্রী ও তার ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে নরসিংদী শহরের ভেলানগর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কাইয়ুমের সাথে ভ্যাগের পাড়া গ্রামের মোকারমের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার সুমির পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। পরকীয়ার জেরে
সুমির পরিবারের লোকজন কাইয়ুমকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পাশেসেফটি ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনার ৫দিন পর সোমবার সন্ধ্যার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম অপু জানান, কাইয়ুম গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বন্ধুর কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে তাকে না পেয়ে ৪ মার্চ নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
জিডির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেদ আহমেদ এর নেতৃত্বে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন ও নরসিংদী মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামানসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ জানান, নিখোঁজের পর নিহতের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্রধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তে নামে পুলিশ। কললিস্টে মোকারমের স্ত্রী সুমির সাথে একাধিক মোবাইল কলের যোগসূত্র পাওয়া যায়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমীকে আটক করা হয়।
পরে সুমির দেয়া তথ্যমতে ওই বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে কাইয়ুমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুমীসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।